অনিমেষ গুপ্ত
বোধ
মার খেয়েছে
কষের রক্তে সিঁদুর শরীর
ছোবল তুলে ক্লান্ত হল সাপ
মৃত্যু নেই, জরা ব্যাধি
স্তব্ধ অহংকার । একা সে-ই জর্জরিত
বোঝেইনি কেউ আর !
তবু ঘোর লেগে আছে
আজো শিরা... শিরায়...
ছুঁতে ছুঁতে নির্জনতার গহীন পরিমাপ
-----
২)
হাওয়ায় জড়িয়ে আছে বাসি অভিমান
পড়ে আছ নিথর। সেই শীতল বাঁকা মুখে
লেগে আছে বাসি অভিমান।
আলপনা রোদ্দুর, রঙ্গনের নিরলম্ব ছায়া--
এসব আর ঢেউ তোলেনি শীতের হাওয়ায়।
অথচ বাকি যা যা সবই
ঘটছিল নির্ভুল, অন্য দিনের মতো...
একফোঁটা দুধও উথলোয়নি
নরেশের পাতলা ঘটি থেকে। বিজয়েন্দ্রও ভোরে
খবরের কাগজ দিয়ে গেছে। শুধু যা যা ব্যতিক্রম সব
ঘটে চলেছে ভেতরে ভেতরে
কাল আবার ভোর হবে। শীত নামবে সঠিক সময়ে ।
অনিবার্য বদল হবে প্রহরগুলোর
শুধু কেউ ভাববে না বাগানের একপ্রান্তে বসে...
ঠিক কত শীত আনতে পারে
একা কোন রঙ্গন গাছের ছায়া!
কতটা শীতল ছুঁলে কেউ...
আরো বেশি নিঃসঙ্গ হবে নাবাল এক বিকেলের কোলে !
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন