সুতনু হালদার
(১)
প্রথম কৈশোরে গ্রহণ লাগা চাঁদকে আমার যোগিনী বলে মনে হত। এই মনে হওয়ার পেছনে একটা ইতিহাস আছে, তখন সবেমাত্র জীবনে কুয়াশারা হামাগুঁড়ি দিতে শুরু করেছে, এমনই এক সকালে একটা দোকানে সিগারেট কিনতে গিয়ে আমি নস্টালজিক হয়ে পরি, পরিস্থিতিটা অনেকদিন পরে আজ আবার ফিরে এল। গ্রহণ লাগা আলুথালু চাঁদকে আবার যেন যোগিনী বলেই মনে হ'ল! আমার নাভি থেকে বেরিয়ে এল তন্ত্রের গোপনীয়তা, আমার মুখ থেকে অজান্তে উচ্চারিত হ'ল 'ওম্ ' ধ্বনি, লিঙ্গ জাগ্রত হ'ল আদিমতায়; তরঙ্গিত জল ও গাছের পাতার মর্মরতায় আমি চিনতে শুরু করলাম পাহাড়ের গোপন হাতছানিকে, এই পৃথিবীর প্রতিটা নিশ্বাসকে আমি প্রশ্ন করতে থাকলাম অপার কৌতূহলে...রাত্রির নিমগ্নতার প্রতিটা স্পন্দন এক টুকরো পাখি হয়ে আমার দু'চোখে নোঙর ফেলল... বিন্দু বিন্দু ঘাম তখন আমার একমাত্র সঙ্গী,
আনন্দের কিংবা দু:খের-
সুখের কিংবা বিষাদের
(২)
রাত যত গভীর হয় ততই শীতল কণ্ঠের কঙ্কালসার ডাকে ঘুম ভেঙে যায়! কে যেন ডাকে আমায়-
সেই ডাকে সুর নেই, ফুল নেই, শুধু পোড়া মাংসের সুতীব্র গন্ধে অনিমিখ স্তব্ধতা উবু হয়ে উঁকি দ্যায়!
নিশির ডাকের মধ্যে ঘুরে ফিরে বাস করে কোনো এক আগুন পাখি, মিশ কালো ছায়ায় শব্দ ব্রহ্ম! অতি স্মার্ট নার্ভগুলো প্রৌঢ় চাঁদের ন্যুড স্টোরিতে মুখ ডুবিয়ে আকাশের নৈপুণ্য বুঝে নেয়। তার প্রান্তর জুড়ে রয়ে গ্যাছে অনতিক্রান্ত আকর্ষণ! চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে যেসব সেলুলয়েড নুড়ি পাথর তারাও হঠাৎই আমাকে অনর্গল বলে চলে, 'এখন অনেক রাত ঘুমিয়ে পড়ো, ঘুমিয়ে পড়ো'
ঘুমের অনুষঙ্গে প্রতিটা রাতের আলিঙ্গন
ক্রমশই এক রজঃস্বলা কুহকী কনসার্ট!
সেখানে আজও আমি
তোমার স্তনের স্পর্শ পাই...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন