বর্ণালী মুখোপাধ্যায়


নদী বিষয়ক  দু- এক( ১)

আমাদের যেমনতেমন কেটে যাচ্ছে নদী। 
তোমার ও সেই এক পথে বাড়ি ফেরা। 
সাদামাটা  রাস্তাঘাটে   বর্ষাকালে কাদা খুব। 
তোমার কাঁধের ব্যাগে, ব্যাঙ্ক পোস্টাপিসের ছাপোষা কাগজ।  অফিসে কাজের চাপ। ও পাড়া ছাড়ালে
রেল গেট এলো। একটি জারুল গাছে মতিভ্রম পাখিটি ডাকলে তোমার  মন কেমন করে। 
বৌয়ের জন্য জুঁইয়ের মালা কিনলে ধরো। 

তুমি যে আদতে নদী কে জানবে ?
যে লোকটা ঘুমোতে গিয়ে তোমার কাঁধে
ঢলে পড়ছে নিরর্থক, তোমার অফিস কলিগ
পড়শী,স্বজন,সুহৃদ,জটাধারী অঘোর সন্ন্যাসী ?

কে দেখেছে কি ভাবে তোলপাড় করেছো মানচিত্র!
গভীর দুপুরে পাড় ভাঙো,
থরথর পাড় ভাঙো। 

আমাদের যেমন তেমন কেটে যায়। 
তুমি রোজ চেনা পথে ঘরে ফেরো। 
সেকেলে সবুজ দরজার ওপারে বিষন্ন চাঁদ ওঠে। 
তোমার  টিফিন বাক্সে আধখাওয়া রুটি। 

অন্ধতা কতোখানি গাঢ় হলে তোমার  কাঁধের তিলটি
একেবারে ভুলে যাবো।  ভাবি।  আর একটা সাদামাটা  
দিন শুরু হয়। 





নদী বিষয়ক দু-এক(২)

কোনদিন বিপন্ন ঘুমের ভিতর ঝড় হয়ে এলে তুমি। 
আমি বালিশটাকে আঁকড়ে ধরি,আর কাঁথার শরীরে আঁকা পদ্মফুল । সেসব ঢেউয়ের মাথায় ভেসে যায় দেখি!

হিসেবি রাতে তারাটাও নিয়মমাফিক , অথচ জানি ,চোখ খুললেই আর কিছু দেখে ফেলতে পারি। অবাঞ্ছিত বৈরাগী, উঠোনের লক্ষ্মীমন্ত আলপনা মুছে দিলো সেবার---

তীব্র মঞ্জরির গন্ধ তোমার শরীর থেকে উঠে এলো। 
পারাপার করেছি কি?পায়ের পাতায় এতো জল তবে?
অন্ধবৎ পড়ে থাকি ! 
তুমি কি এসেছো কখনো?


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য