পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অসিত মণ্ডল, নিলয় নন্দী

ছবি
সম্পাদকীয় : এক দুরন্ত গতিমান সময়ে বাস করছি আমরা |প্রতিদিনের, প্রতিরাতের প্রতি মুহূর্ত যেন বেহাত হয়ে যাচ্ছে আমাদের কাছ থেকে |প্রাত্যহিক জীবনের যাঁতাকলে আটকা পড়ে হাজার গন্ডা দায় সারতে সারতে আমরা কি হারিয়ে ফেলি আমাদের ছোট ছোট ভালোলাগাগুলোকে? আমাদের মনের অন্দরমহলের কোনো এক বন্ধ ঘরের অন্ধকারে কি গুমরে কাঁদে আমাদের ব্যক্তিগত অপ্রাপ্তি, অসম্পূর্ণ ভালোবাসা?  আসুন না কবিতা,  গল্প, মুক্তগদ্যের     কোনো শব্দবন্ধে, বা কোনো ছবিতে খুঁজে পাই কিনা আমাদের নিজস্ব কোনো আলো, আঁধার, কোনো আশা, নিরাশা, কোনো স্বপ্ন, স্বপ্নভঙ্গ |দেখি না নিশুতি রাতে ঘুম ভেঙে গেলে যে আনন্দ ও কষ্ট একলা সংগোপনে উদযাপন করি তার কোনো মিল, কোনো উপশম খুঁজে পাই কিনা | একমাত্র সাহিত্য সেতু পেরিয়ে আমরা পৌঁছে যেতে পাড়ি সেই রূপকথার দেশে যেখানে হিংসা নেই, দ্বেষ নেই, হানাহানি নেই, মৃত্যু নেই, রক্তক্ষরণ নেই |আছে শুধু নির্মল আনন্দ |আছে জীবনে জীবন মেলানো |হৃদয়ে হৃদয় মেলানো | `বাতিঘর অনলাইন ´ব্লগজিন আমাদের সেই স্বপ্নের বাড়ি যেখানে খোলা বারান্দায় বসবে  লেখক পাঠক মুখোমুখি |জমে উঠবে আন্তরিক আ...

রেহান কৌশিক

ছবি
রাক্ষস বুকের ভিতর আজও ঝড় তোলে কোনো এক সাহসী রাক্ষস আর্যদের চতুরতা ভেঙে                ফিরে পেতে চায়                         স্বাধীন পতাকা                         মায়াচ্ছন্ন স্বদেশের ঘ্রাণ। মুছে যাচ্ছে আঙুলের সমস্ত জড়তা কণ্ঠনালী থেকে আজ খুলে যাচ্ছে সব অসাড়তা               জেগে উঠছে পুনরায় মিছিলের পুরোনো ক্ষিপ্রতা... চলো, তবে যাই মুখোমুখি প্রকাশ্যে দাঁড়াই। পেয়েছে কি কেউ কোনদিন                            সরল-ভূখন্ড                            সহজ-মানচিত্র কারো অকাতর দানে? পাখিদের চতুরতা নেই শ্রমিকও শেখেনি কোনো চাতুর্যের পাঠ খিদের দাবিতে তারা সরাসরি কথা বলতে জানে। কেউ যদি একে আজ দ্রোহ বলে - বল...

শ্যামশ্রী রায় কর্মকার

ছবি
নদী ও যুবক  ডুবজলে দাঁড়িয়ে যে যুবকটি একশো বছর  একমনে পড়ে যেতো  স্রোতের আরম্ভ আর শেষ  রৌদ্রের দিনলিপি খুলে একটি একটি করে আলতো স্মৃতির লেখা  টুকে রাখত বন্ধকী খাতায়  আজন্ম চাঁদের নীচে লিখে রাখত অশ্রুর বন্দিশ পুরনো বটের নীচে মাথা নেড়ে বলে যেতো সন্ধ্যার প্রিয়  কথকতা  আজকাল রোজই তার কবিতার ভিতর  বৃষ্টি পড়ে জলটুকু  চশমার কাচ বেয়ে বয়ে যায় মাঠভর্তি ধানের গোড়ায়  দু-এক কলি পথ চলা শেষ করে যখনি সে ফিরে আসে নদীর সংসারে  আড়বাঁশি বেজে ওঠে তীরস্থ নারকেল গাছের নিভৃতে  রাত্রি গভীর হলে নদী এসে হাঁটু মুড়ে বসে থাকে শিয়রের কাছে  হাতপাখা টেনে টেনে মুছে দেয় শরীরের ঘাম গল্প পড়ে শোনায় ইলিয়াড থেকে  সকাল হলেই নদীমুগ্ধ যুবক স্রোতস্বিনীটির বামহাত ধরে হেঁটে চলে যায় শেষ মোহনার দিকে  যেন তার কোনো কালে মানুষের জীবন ছিল না

বৈজয়ন্ত রাহা

ছবি
যখন তখন ঘুম থেকে অন্য এক ঘুমে ,  ক্ষতরাও হেঁটে যায় একা , আমার ভিতর আজও ইতিহাস বেড়ে ওঠে যখন তখন  , খোঁজে কেউ কেউ  , আমিও যে হেঁটে যাই ক্ষতদের পিছন পিছন  , সে কথা জানেনা  ;  দিঘিদের বুকে ছায়া পড়ে , কেউ কেউ আজও জিজ্ঞাসা করে ,  চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি কেমন  ? এর কোনো  জবাব কী হয় ?  হরপ্পায় দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা আছে কারা ভালোবাসে ,   কারা হাত নেড়ে পিছনে তাকায়  , কারা শুধু বেচে দিতে আসে ভিখারি সময়…  পুজো শুরু হলে রাত্রিও  উৎসব হয় নদীটির অদ্ভুত কিনারে , অপেক্ষার ফসিল থেকে চারাগাছ মাথা তোলে  , অববাহিকায় সংকীর্ণ চর মনে হয় ,  ঝড় শেষ হলে আর  থাকবে না ,  তবুও কী হেঁটে যাব ? ট্রেন আসা  বাকি আছে কারও  ?  পুনরুদ্ধার  ? ইতিহাস হেসে ওঠে যখন তখন জ্যোৎস্না থেকে অন্য এক জ্যোৎস্নার অলীক গভীরে…

বর্ণালী মুখোপাধ্যায়

ছবি
নদী বিষয়ক  দু- এক( ১) আমাদের যেমনতেমন কেটে যাচ্ছে নদী।  তোমার ও সেই এক পথে বাড়ি ফেরা।  সাদামাটা  রাস্তাঘাটে   বর্ষাকালে কাদা খুব।  তোমার কাঁধের ব্যাগে, ব্যাঙ্ক পোস্টাপিসের ছাপোষা কাগজ।  অফিসে কাজের চাপ। ও পাড়া ছাড়ালে রেল গেট এলো। একটি জারুল গাছে মতিভ্রম পাখিটি ডাকলে তোমার  মন কেমন করে।  বৌয়ের জন্য জুঁইয়ের মালা কিনলে ধরো।  তুমি যে আদতে নদী কে জানবে ? যে লোকটা ঘুমোতে গিয়ে তোমার কাঁধে ঢলে পড়ছে নিরর্থক, তোমার অফিস কলিগ পড়শী,স্বজন,সুহৃদ,জটাধারী অঘোর সন্ন্যাসী ? কে দেখেছে কি ভাবে তোলপাড় করেছো মানচিত্র! গভীর দুপুরে পাড় ভাঙো, থরথর পাড় ভাঙো।  আমাদের যেমন তেমন কেটে যায়।  তুমি রোজ চেনা পথে ঘরে ফেরো।  সেকেলে সবুজ দরজার ওপারে বিষন্ন চাঁদ ওঠে।  তোমার  টিফিন বাক্সে আধখাওয়া রুটি।  অন্ধতা কতোখানি গাঢ় হলে তোমার  কাঁধের তিলটি একেবারে ভুলে যাবো।  ভাবি।  আর একটা সাদামাটা   দিন শুরু হয়।  নদী বিষয়ক দু-এক(২) কোনদিন বিপন্ন ঘুম...

চয়ন ভৌমিক

ছবি
অনন্ত বাগানবাড়ি ১) পাঁচিলের ওপারে সংরক্ষিত হাওয়া। শান্ত ঋতুচক্রর উপর চিত্রিত আশ্রয়ে কী ভাবে যেন নীরবে ফুটে থাকে নির্ভীক ফুল। একটা টানা রাস্তা চলে গেছে দূরে, দুপাশে গালচের সবুজ। নিজের নিশ্বাসের সাথে কথা বলতে বলতে, এই দেখো চলেছি আমরা আজীবন তীর্থঙ্কর। ২) নারীটি শ্বেত পাথরের। কিন্তু তার অঞ্জলিপুট বেয়ে নেমে আসা ছায়া, জলীয়। নীচে মাছেদের কেলি। লাল, নীল, হলুদ সাঁতার পেরিয়ে এই বসেছি নতজানু সন্ধ্যা-নিবিড়ে, পাতা চায়ে গুলে দিচ্ছি সঞ্জীবনী মধুর।  ৩) অন্ধকারের রঙ সবুজ, অজ্ঞাত ছিল এতদিন। এত ভাঁজ গাছেদের গায়ে এত অক্সিজেনবাহী লাল তার সংবহন, এসবে মিশে যেতে যেতে বুঝেছি, পাখিদের ভাষা জানি না আমরা। ৪) যারা এ আসন পেতেছে, তারা প্রাজ্ঞ। জানে এখানে একদিন এসে বসবে নির্জনতা। পায়ের কাছে হামা টানবে বিকেলের পড়শি রোদ, ঝরাপাতার নির্ঝর সঙ্গীত বেজে উঠবে সামান্য আন্দোলনেই। এই সাজানো বিতানে মায়া ছেড়ে রেখে গেল যারা, তাদের বৃষ্টিবাদল, তাদের নীল আকাশ, অগ্রাহ্য রেখে ফিরি কী করে হে দয়াময়....

সঞ্জয় মৌলিক

ছবি
ঈশ্বর দেখছেন সব ঈশ্বর দেখছেন সব,   যদিও তার চোখ অন্যের দিকে                                                                                                                                     ঘোরানো  ! তাকিয়ে থাকো ,  দ্যাখো ,  তুমি যাকে ভালোবাসো, বর্ষার সন্ধ্যায় তার                    ...

অনিমেষ গুপ্ত

ছবি
১) বোধ মার খেয়েছে কষের রক্তে সিঁদুর শরীর ছোবল তুলে ক্লান্ত হল সাপ মৃত্যু নেই, জরা ব্যাধি  স্তব্ধ অহংকার  ।  একা সে-ই জর্জরিত     বোঝেইনি কেউ আর ! তবু ঘোর লেগে আছে আজো শিরা... শিরায়... ছুঁতে ছুঁতে নির্জনতার গহীন পরিমাপ   -----   ২)   হাওয়ায় জড়িয়ে আছে বাসি অভিমান পড়ে আছ নিথর। সেই শীতল বাঁকা মুখে লেগে আছে বাসি অভিমান। আলপনা রোদ্দুর,  রঙ্গনের নিরলম্ব ছায়া--  এসব আর ঢেউ তোলেনি শীতের হাওয়ায়। অথচ বাকি যা যা সবই ঘটছিল নির্ভুল, অন্য দিনের মতো... একফোঁটা দুধও উথলোয়নি নরেশের পাতলা ঘটি থেকে। বিজয়েন্দ্রও ভোরে খবরের কাগজ দিয়ে গেছে। শুধু যা যা ব্যতিক্রম সব  ঘটে চলেছে ভেতরে ভেতরে কাল আবার ভোর হবে। শীত নামবে সঠিক সময়ে  । অনিবার্য বদল হবে প্রহরগুলোর শুধু কেউ ভাববে না বাগানের একপ্রান্তে বসে... ঠিক কত শীত আনতে পারে একা কোন রঙ্গন গাছের ছায়া! কতটা শীতল ছুঁলে কেউ...  আরো বেশি নিঃসঙ্গ হবে নাবাল এক বিকেলের কোলে !

নিলয় নন্দী

ছবি
হেমন্তের এস.এম.এস কোনো ঘরেই আর তোমাকে খুঁজে পাচ্ছি না। বেডরুম, ডাইনিং, ড্রয়িং বা একচিলতে ঝুলবারান্দা কোথাও না পেয়ে সিঁড়ি বেয়ে উঠে যাই ছাদ, কার্ণিশ, তারের শাড়ির ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে দেখি গলিতে লাল মারুতি ধোঁয়াশা কাঁচ হঠাৎ মিলিয়ে যাওয়ার আগে... এ বাড়ি আমার নয়, জানি। এ বাড়ি তোমার'ও নয় হয়তো। তবু এক নির্জন বইয়ের তাক থেকে গেছে কোথাও সেখানে নীরা সন্তর্পণে বেরিয়ে পাশের বইয়ের ভিতরে ঢুকে যায়। চুমু খেয়ে আসে পৃথুকে। আরণ্যক ক্যাফেটেরিয়ায় বার বি কিউ'ও খায়। তারপর, নিষিদ্ধ প্রেমের কবিতায়... সেই বারোয়ারি কলতলা ফেলে এসেছি কবেই এখন উপস্থিতির কোন শব্দ হয় না নিবিড় যোগাযোগ নিখোঁজ বার্তায় মিশে যায়। হেমন্তের এস.এম.এস থেকে তখনো ঝরে পড়ে  বিগত শিউলি আর অপেক্ষা এপিটাফ...

মেঘনা চট্টোপাধ্যায়

ছবি
ব্লু হোয়েল দ্য গেম আমি জন্মান্ধ, মূক ও বধির শয্যাগত চলচ্ছক্তিহীন একথা তো সকলেই জানে অথচ এ ব্যাধির শেকড় পেয়েছি খুঁজে  গোড়া ধরে টানও মেরেছি সহজে কি ওঠে আর! শিরায় শিরায় তার অনন্ত সংসার মাটি কামড়ে ধরে থাকে পড়ে থাকে মরণের পরও তবু আমি প্রাণপণে ছিঁড়েছি শেকড় অস্থিমজ্জার পাকে ডালপালা ছেয়ে শেকলের মত যারা জড়িয়েছে পায়ে এখন দুপায়ে বল, দুবাহুতে সিংহের বিক্রম কার্নিশে কার্নিশে ঘুরি বেড়ালের মত ঝোপ বুজে লাফ মারি গৃহস্থ রোয়াকে ভেঙে যায় ব্রহ্মকমলের টব বেলোয়ারি সুখের রাজপাট জন্মান্ধ বালক আমি মৃতদেহে স্তন্য খুঁজে মরি একথা তো সকলেই জানে অথচ যে ব্যালকনির ঝিম আলো, পিৎজা আর বিলিতি আতরে ক্লান্তি পায়, অবসাদে নীল হয়ে যায় তার জন্যে নীল তিমি প্রস্তুত রেখেছি শিউলি ফুলের মতো অপমৃত্যু বেঁধেছি রুমালে ঢেউয়ের কেশর চেপে ধরে অলিন্দ নিলয় ছেনে রেণু রেণু মুক্তো তুলে আনি তিমিরা গাইতে থাকে তাদের নিজস্ব সামগান সুখী গেরস্থালী খুঁজে মরে পদ্মপাতায় মুড়ে সে গানের সুর রেখে আসি লাল ডুরে তোষকের নীচে টাইমারে বেঁধে দিই নিশ্চিত ধ্বংসের ...

দেবাশিস ঘোষ

ছবি
স্নানপর্ব ।।    ------------------------------ --------- ঘুমের ভিতর থেকে গর্জে ওঠে একমুঠো সায়ানাইড চেয়ার টেবিল খাট ভাসমান দূরে সরে যায় ঘুমের ভিতর থেকে বোতামেরা সুতো খুলে ফ্যালে ন্যাংটো করে ছেড়ে দ্যায় শীতল আপ্লুত সরোবরে গাছে উঠে বোতামেরা সিটি দ্যায় জলে সখীদল লজ্জা ডুবিয়ে নিয়ে তিন আঙুল কৃষ্ণগহ্বরে জল ছেড়ে উঠে তাঁরা একে একে একে একে ঢুকে যায় গাছের ভিতর বোতাম জটলা করে গাছেদের ধমক শাসানি দূরে চাঁদ লেজ নাড়ে চান্দেল প্রাসাদে বাঁধা চেন জল থেকে একে একে উঠে যাচ্ছে মাধুরী ম্যাডোনা ঘুমের ভিতর ফের জেগে উঠছে সহস্র চুম্বন গাছের উপর থেকে বাঁশের বাঁশরী ক্রিয়াশীল সেভেন্থ সিম্ফনি নাচে গোরে গোরে জলপৃষ্ঠে ভেসে বোতাম বিস্মিত হয় যমুনাও খুলে দ্যায় রূপ

তাপসী লাহা

ছবি
কিপ ওয়াচিং ময়লা জমলে সাফাই ছাড়া রাস্তা কই।শুদ্ধ সাহিত্যের মত খাটি জিনিস আর পাওয়াটা  অত সহজ! দু চারটে কাব্যিক কথা ঝাড়বো,পারিনা প্লিজ খেন্তি দাও। মেঘ হামেশাই জমে থাকে।  মন বস্তুটাই তো একদম মেয়ে জাতের মত।ঠ্যাঙানি খাবে তাও পা ধরবে,সাধ মিটবে না, কোথা থেকে কি এক ভেল্কিবাজি হবে,কুলকিনার ছাড়াই ও বাবা অত্যাচারী  কংসবাবুর মত পেটি ভদ্দরনোকের জন্য সিঁদুর মেখে পাটভাঙ শাড়িতে সেজে রেডি থাকবে নেক্সট  অনস্লটের জন্য।শ্যাহ লাঃ।  এও এক বিস্ময়ের মত।এখানে খামোখা যৌনতা ও লিঙ্গভিত্তিক  আচরণ নিয়ে  অনেকে কপচানি দেবেন।কিন্তু ভাই প্র‍্যাক্টিক্যালি এই টেক টু ফেক যুগে  বুঝবে ক্যামনে ।  তাই হাজারবার সতর্ক করছি এই বারের বার মন,ময়লা, মেঘ, ময়াল সাপের মত আপাদমস্তক পেঁচিয়ে নেওয়ার আগেই সংশ্লিষ্ট  বিষয়সংক্রান্ত মৌলিক ও অপ্রস্তুত  জ্ঞান থাকা দরকার। পরিষ্কার বিষয়ে এটা মোটামুটি ক্লিয়ার যে  অঙ্গভিত্তিক হবে।এখানে একটু বলে নিই আমরা অঙ্গরাজ্য মানে পুরো শরীর না থাকা আধা বা পৌনে কোন স্থানের কথা নিয়ে ভাববো না। আমাদের প্রায়োরিটি হবে অবশ্য...

সজ্জ্বল দত্ত

ছবি
                 বাইপাস               .............................. ........... আশ্চর্য ট্র্যাফিক জ্যামে বিধাননগর থেকে                                      গড়িয়ার পথে .... ইস্টার্ণ বাইপাস -  বাসের পেছনদিকে জানলায় আমি ।  বাইরে মানিস্কোয়ার ... অ্যাপোলোর টেনশান... আমরা দলে দলে ঠিক যেন সিনেমার ছবি ।  সামান্য এগোল বাস ,  ডাইনে মিলনমেলা অক্ষর ফোঁটা ফোঁটা                      নতুন কবির মুখ জানুয়ারী শেষে । আরও একটুখানি... দুধারে মার্বেল অনেক সস্তা পাশে রুবির উদ্বেগ... শান্তির জল হাতে অন্য রবীন্দ্রনাথ                       ছুরিকাঁচি মমিঘরে বাঁদিকে গলিতে । হালকা হল কি ভীড় অল্প একটুখানি !? ওঃ কি দুর্ভোগ নিত্যনৈমিত্তিক  এটুকু আসতে যেন পন্চাশ বছ...

পিয়ালী বসু ঘোষ

ছবি
(এক ) #ওষধি_________ রোদের হেলে পড়া দেখলে টের পাই   শরীরে নেমে আসছে সূর্যাস্তের ট্যাটু আমি সেই রোদের যৎকিঞ্চিৎ সঞ্চিতা  ঋতুপরিবর্তনের উল্লাস থেমে গেছে বহুদিন  কেবল তেতো এক চুম্বনচিহ্ন এখনো  স্যাঁতস্যাঁতে করে রেখেছে গোলার্ধের দক্ষিণ  আলোছায়া খেলায় ব্যর্থ দাবাড়ু আমি  জেনেছি, এ রোদ্দুর অব্যর্থ ওষধি  নিরাময় অযোগ্য সমস্ত অসুখের| (দুই ) #ভ্ৰম____ বুকের ভিতরেও দুটো চোখ  আছে  আছে অনন্ত সাদা কাশবন সবুজ গালিচায় মোড়া লবটুলিয়ার জঙ্গল আছে একপাশে  তার দক্ষিণে সাদা বালির চড়ে আরণ্যক এর স্রষ্টা বইহারের ইতিহাস আঁকছেন  অতিপ্রাকৃত পরীরাজ্যে তখন দুধলি জ্যোৎস্না ডাগর ফুলের চোখে এসময় কেবলই ভ্ৰম হয় ছোট ছোট পায়ে গৃহস্থের ঘরে নেমে আসা মেয়েটি ভানুমতী নাকি কোজাগরী

লুৎফর রহমান

ছবি
গোঁসাই গোঁসাই, নিয়মের দিনরাত,তবু বড় ছোট হয়!! কিন্তু আমার দিন, বুকলেপ্টে মিশে থাকে অন্ধকারে। নহরালী,আকাশ দেখিয়ে একদিন বলেছিল, ঐ আল্লা..! আজ জানি,ওখানে শূন্যের পোস্তা কেবল...  হুহু করে নড়ে,কাঁপে!! সেখানে একটাও বুড়ির ঘর নেই,যে,হাওয়া লাগবে ফর ফর করে। গোঁসাই,দিন কতজনের হলো। সুরাহা হলো,সম্পদ হলো।  রাত থেকে গেল, যেন পড়েই রইল হোসেনের বরাদ্দে!! ভাবি, চোখে চাইব।  মুখ দেখা যায় কিনা,জানার জন্য চোখে চাইবো। কিন্তু গোঁসাই,সে তো ভেলীগুড় নয়, যে,নিদেনে মিস্টতা দেবে। সে তো,পথে পথে ধূলোর মকরতাপ,...কেবল পথিকের পরিক্রমায় তৃপ্ত হয়। আমি হাটুরে, কানাহোসেন নিজের দেহে ভর করে হাঁটি।  তবু পথের কাছে গিয়ে দাঁড়ালে, আমি ফুরিয়ে যাই.... যোজন যোজন পথ অবধি আমি ফুরিয়ে  যাচ্ছি, টের পাই! গোঁসাই.... ও গোঁসাই... ও  চাঁদমণি, কানাহোসেনের আলো বেঁধে দাও গো একবার দেখে যাই,  তার শুরু আর শেষ কতো লম্বা!!

রাজদীপ ভট্টাচার্য্য

ছবি
  #  শান্তিজল কোথাও ভুল হয়ে গেছে হে, বড় ভুল। আত্মরতির এ মিছিল তো হিসেবে ছিলো না  কথা ছিলো যৌথ জীবনযাপনের  বিছানা-বালিশের অর্ডার যে সেভাবেই দেওয়া  ঘরে ঘরে ছয় - সাত খাট, দেড়টন এসি ঝালর দেওয়া পর্দা, অ্যাটাচ বাথ সব এভাবে মিথ্যে হয়ে যাবে!  কে জানতো বল? ইমন দিন আসবেক বটে, মানুষ শুধু সেল্ফি তুলবে, কোণে কোণে ছড়াবে আলো  লাস্য লাইভ হবে সোস্যাল সাইটে হাজার হাজার লাইক ও কমেন্টের মাঝে  হাতের খেলনা ও ভাইব্রেটর বারেবারে ছিটিয়ে দেবে শান্তিজল।  

সুতনু হালদার

ছবি
            কুহকী কনসার্ট                                             (১) প্রথম কৈশোরে গ্রহণ লাগা চাঁদকে আমার যোগিনী বলে মনে হত। এই মনে হওয়ার পেছনে একটা ইতিহাস আছে, তখন সবেমাত্র জীবনে কুয়াশারা হামাগুঁড়ি দিতে শুরু করেছে, এমনই এক সকালে একটা দোকানে সিগারেট কিনতে গিয়ে আমি নস্টালজিক হয়ে পরি, পরিস্থিতিটা অনেকদিন পরে আজ আবার ফিরে এল। গ্রহণ লাগা আলুথালু চাঁদকে আবার যেন যোগিনী বলেই মনে হ'ল! আমার নাভি থেকে বেরিয়ে এল তন্ত্রের গোপনীয়তা, আমার মুখ থেকে অজান্তে উচ্চারিত হ'ল 'ওম্ ' ধ্বনি, লিঙ্গ জাগ্রত হ'ল আদিমতায়; তরঙ্গিত জল ও গাছের পাতার মর্মরতায় আমি চিনতে শুরু করলাম পাহাড়ের গোপন হাতছানিকে, এই পৃথিবীর প্রতিটা নিশ্বাসকে আমি প্রশ্ন করতে থাকলাম অপার কৌতূহলে...রাত্রির নিমগ্নতার প্রতিটা স্পন্দন এক টুকরো পাখি হয়ে আমার দু'চোখে নোঙর ফেলল... বিন্দু বিন্দু ঘাম তখন আমার একমাত্র সঙ্গী,                   ...

রিমলী বিশ্বাস

ছবি
ফেরত তুমি জানতেও পারোনি... আমি শুধু তোমাকেই লিখে গেছি রোজ! যে ব্যথায় নীল হতে হতে নদী হয়ে গেছি  যে আদরে ফুলঝুরি রঙমশাল  সবটাই তোমারই দেওয়া! তোমার ট্যাগ না খোলা শার্ট থেকে ছিঁড়ে যাওয়া পুরনো পাঞ্জাবির বোতাম পর্যন্ত,  গোধূলির নির্জন রাস্তায় হেঁটে যাওয়া ক্লান্তি থেকে মধ্যরাতের ভুলবশত ঘুমভাঙা পর্যন্ত,  এলোমেলো ছুঁতে চাওয়ার ইচ্ছে থেকে তীব্র আশ্লেষ পর্যন্ত...  শুধু তোমাকেই লিখে গেছি! ছাতিমগাছ কবীর সুমন  চা কিমবা ওয়াইন  সবটাই অনুসঙ্গ মাত্র!  আমার শীতকালীন অ্যাস্থামায়  ইনহেলারের কাজ করে গেছে তোমার ফুসফুসের চিত্রকল্প! তোমারই বিকল্প খুঁজে দু'হাতে  আগুন ঘেঁটেছি  তোমারই আদল ভেবে অন্ধকারে  নিভিয়ে দিয়েছি আলো... তারপর?  সেসব থাক... শুধু এটুকু জেনে রাখো  তোমায় লিখবো বলেই  কল্পনা আর মিথ্যে  কখনও একাকার করিনি... কোনদিন পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দেখো নিজেকে ফেরত পেয়ে যাবে।

পলাশ চৌধুরী

ছবি
বিস্তার চলো কাকসন্ধি হই, সন্ধ্যাশব এখানের গ্রাফ; প্লাবক চোর, ঘিরে ফুট বিস্তর ভিটে। নামিয়েছ?  বিকার আসা মেঘেরডাক--- নেমেছ? শুশ্রূষা ফুলেরতোড়ায়--- পুই বেয়ে বেঁচেছে স্বর্ণগঞ্জ, রিদেল দরিদ্রতা। খোলাই তো দরজা আজ আধোসন্ধ্যায়, গেছো হাড় ভেঙে ভেঙে গেছে সিরিয়ালি। হরিয়ালি আজ ডোর পেতে রাসকেল রাস্তায়। কোমর বেজিয়ে অগোছ লতানো, সহসা আগুন হলে, ব্লিজ করে নিও নারী। আজো কী কাকসন্ধি সেই? আজো কী বতর সেই? বৃষরাশি গালিব পেলেই, আজো কী আগুন নেভানো হয়?