দীপ শেখর চক্রবর্তী
৭- ই ডিসেম্বর, নিউ মার্কেট থেকে হেঁটে যেতে যেতে
১
ভেতরেও ধীরে ধীরে অন্ধকার নেমে আসে
চিৎকারের বিপরীতে এমন চিৎকার
অপমানের বদলে আরও বেশি অপমান
আঘাতের বদলে আরও বেশি তীব্র আঘাত
এই তো নিয়ম, টিকে থাকা
প্রতিদিন ধারালো অস্ত্রতে শান দিয়ে যেতে হয়
চুপ করে গেলে
ধীরে ধীরে ভেতরে অন্ধকার নেমে আসে
একা, বিপন্ন হয়ে বাসে ট্রামে ঘরে ফেরা
কেউ নেই, যার বুকেতে মুখ রেখে বলা যেতে পারে
আমি তো এভাবে জীবন দেখিনি।
যত দিন যায় আরও বেশি কথা কমে আসে
নিজেকে শান্ত জলের কাছে নিয়ে যাই
একে একে তলায় রেখে দিই সমস্ত ক্ষত
মুখ দেখি, মুখ ধুয়ে যায়...
আমার এই মুখ ধোয়া জল
মনে হয়, তোমার মুখের মতো।
২
সামান্যতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি!
এ দোষ তোমার নয়
সামান্য কথা বেশি হয়ে গেলে
নীরবতা ভালো লাগে।
বলাই সহজ পৃথিবীতে।
বলে ফেলা...
তবু কেন, নীরবতা আগুনের কাছে
বারবার টেনে নিয়ে যায়?
তোমার দোষ নেই কোনও
আমিই কঠিন ভালোবেসে
পুড়িয়ে ফেলেছি জিভ।
যা কিছু এখন বলি
ঘর পোড়া গাভীটির কথা, যার ডর
সিঁদুরে মেঘ
যার ভাষা, এই হাত কখনও ছেড়ো না।
আমিই কঠিন ভালোবেসে......
উত্তরমুছুনঅপূর্ব লাগল। আপনি বড্ড বেশি মানুষ লেখেন৷ আগেও বলেছিলাম একবার, এক একটা লেখা পড়লে মনে হয় ভেতরের 'আমি' কে টেনে বের করেছেন৷ মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
ভালো লাগল।
উত্তরমুছুন