সোমনাথ বেনিয়া


ভিতরতাড়িত কথা

না তাকাবো না কিছুতেই। কারণ জানি "objects in the mirror are closer than they appear". নিজের কাছে প্রেম নিবেদনের ইতিহাস বারংবার বঞ্চিত হয়েছে। কোনো এক উষ্ণ সন্ধ্যায় গোলাপকে বলেছিলাম, "কথা আছে, শুনবে?" ফ্রি মুভমেন্ট সরল হয়ে উড়ে গিয়েছিলো। তাই আবেগতাড়িত হলেও কামতাড়িত হ‌ই না। যৌনতাকে মাথায় চাপতে দিই না। হাতের করে ঈশ্বরকে নামিয়ে আনি। সমস্ত রক্তকণিকা জপের মালার মন্ত্রপূত বীজ। নিজের সংযমের কাছে ঋণী থাকি। ঘোলাটে সময়ের ক্রোড়পত্রে ঘুমিয়ে পড়ি। চরাচরের লুকিং গ্লাসে সম্পর্কের বিচ্ছেদনামা রেখেছি। র চায়ে মদের কোন ভ্রান্তিমূলক দৃষ্টি রাখিনি। স্বপ্নে কোনো মেয়েকে বলিনি, "যব প‍্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক‍্যায়া!" যারা হেসেছে তাদের দেহভঙ্গির অনুরণনে বিমোহিত হ‌ইনি বলে জ‍্যোৎস্নার কোনো উপমা খুঁজে পাইনি। নিজের ঘরকে কুঁড়েঘর বলে মনে হয়নি। জানালার গ্রিল ধরে তারাদের সঙ্গে কথা বলা সুদূর পরাহত। বরং হৃদয় আমার ব্ল‍্যাকহোল হলেও নোনতা গ্রাভিটির ভয়ে যে যার ট‍্যানজেন্ট ধরে ছুটে গেছে অন‍্য শব্দের মাত্রা হতে। পরকীয়া বলতে যা বুঝি তা থার্মোমিটারের নিম্ন স্থিরাঙ্ক। তবে কি প্রেম বলে কিছুই নেই আমার? ঠিক তা নয়। উন্নাসিকতার বেড়াজাল তৈরি হয়েছে রাহুর সংস্রবে। এমন একটা ঘোর যার ফ্ল‍্যাশব‍্যাকে হৃদয়ের কপাটিকাগুলো অনিয়মিত ভাবে খোলে। বন্ধ হ‌ওয়ার সমীকরণ‌ও অচেনা। এসব পাপ কিনা জানি না! উত্তর খুঁজতে গিয়ে হনুমান চালিশার পয়ার ছন্দে হারিয়ে যাই। তখন খুঁজে পাই নির্জন স্তব্ধতার গুহা। একা বসে থাকা এই অস্তিত্বের একমাত্র অধীশ্বর ঈশ্বর। আকাশ-পাতাল কাঁপানো কোনো মোহিনী চুম্বন শরীরের রোমকূপে শিহরন জাগাতে পারে না। সুতরাং আতিথেয়তার প্রশ্ন নেই। নিজের থেকে শুরু হয়েছে অসংখ্য সরু গলি। প্রতিটি গলির মুখে সাইন বোর্ড। সেই এক‌ই লেখা "Treaspasser will be prosecuted". এখন "আব তেরা ক‍্যায়া হোগা রে কালিয়া"। হাম একহি হ‍্যায় সর্দার। দো ওউর তিন ভি নেহি। থুড়ি অদৃশ‍্য একজন আছে। তাকে আপনি বলতে পারবেন না যে "আব গোলি খা"। আপনার সেই হাসি যাকে বলে "slutty smile", তার প্রকাশ বেঘরে মারা যাবে। এই কপালে নরম হাতের স্পর্শ থাকবে না। জ্বর আসবে না কোনোদিন। র‍্যাপারের প‍্যারাসিটামলের মলিক‍্যুল এক্সপায়েরি ডেট পেরিয়ে সুইসাইড পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়াবে। এইসব স্বজন বিয়োগ নয় বলে পাঁকাল মাছের শরীরী অবয়ব মনখারাপের ওয়াল পেপার হয়ে থাকে। আসলে নার্সারির লাইন টানা ইংরেজি খাতা খালি মাথা কেটে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। বৃদ্ধি তাই হ্রাসের ব‍্যাস্তানুপাতিক হয়ে যায়। যতটুকু সাহস নিজের তর্জনীতে সঞ্চয় করি, তার থেকেও অনেক বেশি ভয় বুড়ো আঙুলে জন্ম নিতে থাকে। অবশেষে উলটে গেলে আয়নার পিছনে চিপটে থাকা পারা অকাতরে ঝরে পড়ে। এই তো স্বচ্ছতা। ট্রান্সপারেন্সি। এই পরিচ্ছন্নতা অবশ‍্য শূন‍্যতার সুপিরিয়র বস যার অনুমোদন সুবোধ বালক করে ছাড়ে। এভাবেই বিশ্বাস করতে শিখেছি যে আমার কোনো মেধাবী বীর্য নেই। তাই বলতে পারিনি "যো হোগা দেখা যায়েগা"। এখন জ্বলন্ত উনুনের ধারে বসে আছি যার চালচে সোঁদাগন্ধ আমার বসন্তের আবহবিকার ...



 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য