পৃথা চট্টোপাধ্যায়



 কবোষ্ণতা 


তোমার ঠোঁটের কোণে লেগে আছে হেমন্তের রোদ,
মিঠে আঁচে সেঁকে নেওয়া চিকন পেলব মৃদু হাসি।
মুছে দাও সব ক্লান্তি যবের শিষের সাথে মিশে, আমের মুকুলে বাসন্তিকা রঙ লাগে শ্রীপঞ্চমীর
এখন শীতের ঋতু টানটান শরীরে তোমার
তীব্র দাহে দেহ ভরে নিয়ে গ্যাছো জীবন নির্যাস
চকোলেট বোতামের স্বাদে ভেজা জিভের আঁচড়ে
তবু কিছু অপূর্ণতা রেখে যায় ফেরার আশ্বাস ...

তুমি কি একাই সব পারো ওগো সওদাগর সখা অবাক বাণিজ্য তরীখানি ছুঁয়ে যায় কত ঘাট, জলের কলস ভাসে একা...কানা কড়ি নিয়ে বসে থাকা ঈশ্বরের আশে।তবু তো কেবলই ডাকে দ্যাখো পদ্মপাতার মত সবুজ হৃদয়। শীত চলে গেলে
নরম রোমের ডালে কুঁড়ি আসে, ভিতরে অনন্ত সাধ রাতুল পলাশ,তোমার আমার কিছু জীবন বিভাব...

এ দেহ মরাল হলে ডানা থেকে ঝরে ঘাম জল
কতটা গভীরে ডুবে খুঁজে পেতে চাও গূঢ় তল
নদী তার নাব্যতায় লুকিয়ে রেখেছে চোরা সুখ
বৃষ্টি ঝরে অবিরাম, ঘষা কাচ ফ্রেমে সেই মুখ
চুপ চোখে অপলক নিবিড়তা ঘিরে থাক তুমি
নতজানু হয়েছিলে মনে রাখে দেহ মরুভূমি
নদীটির কাছে তুমি কেন ছুটে যাও বারবার
এখানে কবোষ্ণ জলে ভরা আছে সুডৌল অপার... 






মন্তব্যসমূহ

  1. প্রতিটি কবিতা অসাধারণ । খুব ভালো

    উত্তরমুছুন
  2. হয়ত তাই..
    আসলে মুহূর্তের জন্য মৃত্যু..
    কত জীবনের সমনাম ..
    সমুদ্র ছুয়েছো ঠোঁটে..
    তোমার কপাল জুড়ে ঘাম..

    প্রতিটি লাইন যেনো কোনো এক গভীরে যেতে বলে..
    মুগ্ধ হলাম..

    উত্তরমুছুন
  3. 2 নাম্বার কবিতা টি আমার মনে দগ কাটলো দিদি খুব সুন্দর

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য