রিমলী বিশ্বাস
শীত-কথা
পেরোয় না শীত প্রাপ্তবয়স, আনকোরা তার শরীর জুড়ে
কিশোরবেলার মগ্ন তুষার হৃদয়তন্ত্রী যাচ্ছে খুঁড়ে!
সমস্ততেই হালকা পরত হিমের সাথে উত্তুরে ভোর
পৌষালী শীত ঘুম ভাঙালো, কংসাবতী কি হলো তোর?
খেজুর গাছে ফোঁটায় ফোঁটায় ভরাট শরীর উপচে ওঠে
ঘনিষ্ঠতা আগুন খোঁজে শব্দভেদী গ্রামীণ ঠোঁটে
মফস্বলি নক্সীকাঁথায় এই সময়ে আড়মোড়া প্রেম
শরীর থেকে শরীর বোনে রেশম সুতোয় আলগোছে হেম
শহর কিন্তু একইরকম ব্যস্ত অফিস, শপিংমলে
কফির সঙ্গে সন্ধি কারোর, কেউ ডুবে যায় অ্যালকোহলে
বাইরে যত ঠান্ডা বাড়ে নারী-পুরুষ সব শরীরী
গ্রীক পুরাণের ইরোস এবং নিক্স তখনই আদমখোর-ই
শৈত্য এবং উষ্ণতাদের এ এক রকম আদিম খেলা
আদর থেকে আদর মাখে চাদরগুলো রাত্রিবেলা!
ঘুম ভাঙে যেই শিশুর মতন নরম করে তাকায় যুগল
জোড়াদিঘির মতন দু'চোখ, ভালোবাসার টলটলে জল
শীতকালে যে স্পর্শ রাখা তাদের স্পর্ধা অন্যরকম
ঠিক যেন ওই ঘোড়সওয়ার আর শাশ্বতীকে পাওয়ার মতন
তেমন কোনো ইচ্ছে হলে, তবেই এসো আমার ঘরে
শীতযাপনের উষ্ণ দাবি মিটিয়ে নেব তীব্র জ্বরে।
খুব ভালো লাগল। আদমখোর কী দুরন্ত প্রয়োগ! একটা সাজেশন রাখি 'স্পর্ধা তাদের অন্যরকম' লিখলে ছন্দটা আরও জমে।
উত্তরমুছুন