অমিত চক্রবর্তী
একটা পিঁজে যাওয়া ব্লু–প্রিন্ট
সে চিনত না আমাকে, আমিও অপরিচিত জলের খোঁজে
কতবার ছুটেছি একা, সেই নমনীয় কিনারায় এসে
বেসামাল হোঁচটে হোঁচটে, নিংড়ে নেওয়া মন্থর।
সে দেখেছে তিরের ছটা দেহে, দশরথের শব্দভেদী বাণ,
তাই একটা কল্পনা পাঠায়, একটা পিঁজে যাওয়া ব্লু–প্রিন্ট,
ভাঙনের না গড়নের না বুঝেই আমি উচ্ছৃঙ্খল,
কালাপানি উৎসাহে ফের দুশ্চিন্তাহীন।
রক্তে আমাদের চল নেই আর ভাটিয়ালি কিংবা বিহু,
শহুরে টান মাথায়, টিকটক, কংক্রিটের লম্বা ঢালাই,
তবু সে চায় একটা বনভূমি গড়তে,
একটা উপসেচ করা জলা – গড়তে গেলে এদিকে
ভাঙতে হয় অনেকটাই –
অথবা সেই পাশফেরা উপেক্ষা, শোনো তোমরা,
সে চিনত না আমায়, তবু ডাক দিয়েছে অংশীদারে,
পুরো আধাআধি,
ভাঙি বা গড়ি আমি রোদ্দুরে বসে একবার
জীবন চাখবই, একবার সৈন্ধ্রব স্বাদে ভরে যাবে এই
দুর্ভিক্ষের ঠোঁট,
অথবা পাংশু ফ্যাকাশে, বিবর্ণ জিভ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন