পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সম্পাদকীয়

ছবি
  শীতকাহন  কাবার্ড থেকে আদুরে সোয়েটার আলমারিতে উঠে গেছে সেই কবেই। সন্ধের কফি আর কুয়াশার মিতালিও এখন তলানিতে। কতদিন মাঝরাতে বৃষ্টি হয় নি। কতদিন জানালা খোলেনি পৃথিবী। গাছগুলো পাতাশূন্য থেকেছে কতদিন। এখন আবার সবুজের রেখা, রোদের হলকা, জানালায় বিরহিণী। মুখোশ খুলে এক আকাশ শ্বাস আত্মগত করতে বড় সাধ হয়। কফির ধোঁয়াটুকু উড়ে গেলে অলিন্দনিলয়ে জাঁকিয়ে বসে সম্পর্কের শীত। ঘনিষ্ঠ ঠোঁটের গায়ে লেগে আছে আধো আলো শীতের সকাল। ফেলে রাখা মাউথঅর্গ্যানে এখনো হিমেল স্তুতিগান। ভালো আছো, মেঘ? এই বসন্তে মনে মনে মেঘ আর মাঘ জপে যাই। বাতিঘরের তালা খুলি। ধূপধুনো দিতে দেরী হয়ে যায়। দূর সমুদ্র থেকে ভেসে আসে লবণাক্ত হৈম হাওয়া। একাকী জাহাজ তুমি, মৈথুন ভুলে মৃদুমন্দ কেঁপে ওঠো। জাহাজের ডেকে তখন ব্যক্তিগত গদ্য, কবিতারা বসন্তের অঙ্গে অঙ্গে বাজায় মায়া। বাতিঘরের আলোয় তখনো শীতকাহন আর আমাদের একত্রে জড়োসড়ো হয়ে বসে থাকা। প্যানিক অ্যাটাকের গায়ে যতটুকু কুয়াশা বা কাঁপন লেগেছিল সেটুকুও কেটে গেলে ওয়েবজিনের পাতায় মুদ্রিত হয় অনিবার্য বয়ঃসন্ধি... আনন্দঝোলা ঝুলিয়ে পারলে আরো একবার ফিরে এসো পলাতক শীত। রাশিফলে লেখা ছিল মাসের পয়লা তুমি আ...

শিবাশিস মুখোপাধ্যায়

ছবি
  খেলা মধুর তোমার শেষ না পেয়ে, যদুর বাড়ি মশাগ্রাম গিয়েই তাকে জড়িয়ে ধরে গড়িয়ে শেষে তুলকালাম! সরিয়ে দিলাম একটু কারণ  সকাল বিকেল সব সময়, মুহূর্মুহু কুহুর কামড়, ফালতু সময় নষ্ট হয়! সাতটা দশে অ্যালার্ম দিলে ঘুমটা ভাঙে আটটাতে, ছক সাজিয়ে দাবায় বসে মৌরুসী আর পাট্টাতে৷ দাবার খেলা খাবার খেলা, কে কাকে আজ খাচ্ছে, ভাই? রাজা খাচ্ছে, রানি খাচ্ছে, লাঞ্চ টেবিলে যাচ্ছেতাই। টেবিল ক্লথে নক্সা এঁকে বক্সাদুয়ার ঘুরতে যাই শরীর খেলা খেলেছিলাম, কি দারুণ! কি যাচ্ছেতাই!

সৌমনা দাশগুপ্ত

ছবি
  প্রত্নমীড়   শ্বদন্তে কামড়ে নিই ভাষা চুপচাপ জ্বলে ওঠে ঘাস   সবুজ ভ্রমণ ঘিরে জ্বর আসে অলীক মহড়া ঘিরে জ্বর আসে   পাথরের ফুল সে-ফুলে রক্ত দেব হাড়ের বিবিধ শ্রম   আলগা ভ্রমের থেকে ফিরে আসে মাথা   ঘুম খুঁড়ি, খুঁড়ে তুলি পাতাল-যাপন উঠে আসে ভরকেন্দ্র থেকে—ওংকার ঠোঁটের জঙ্গম রাখে প্রগাঢ় শিলায়   হাওয়া পোড়াবার দিন ধু ধু চিৎকার করে গাছ    প্রত্নমীড়ের ছবি… জ্বলে ওঠে ঘাস  

মৌমন মিত্র

ছবি
  ব্যাকসিট  তখন ব্যাকসিট তখন অল্প আলো,নেশা ধরে  ঘাড়ে প্রথম ছুঁই ছুঁই আর সারা সন্ধ্যা মুগ্ধবাক্য উড়ে যাবে কষ্ট কাচ কিছু ভুল মনেপড়াপড়ি-সুতো  ঠোঁটে ঠোঁটে শ্বাসবায়ু আর তার ছায়ামধ্যে ছন্নছাড়াপ্রপাত  'মিটিয়ে নাও সুখী হও' চোখে ভেসে ওঠে,তখনও দেখি  দ্রুত ছুটছে মেট্রোগামী রাত্রিশহর  সময় যদি শুরু থেকে, সময় যদি আরও একবার,কেন নয়?  বার বার এতবার আর ভুল সেই কবেকার ! হাতে হাত, বোঝো কি তা কাছে? হাতে হাত হয়তো-বা দূরেও  নিত্য সুখ,তা তো নয়,মন পেরিয়ে একা ফুসফুসের দানায় !  পুরু ঠোঁট ক্ষয়গ্রস্ত অট্টালিকার নীচে এমনই স্থির অথবা অস্থির  কাঁপে, শুঁকে নেয় যন্ত্রণা,শব্দচুম্বন এ ওর  প্রতি ভুল নতুন অধ্যায় সে বলিরেখায় জন্ম তোর!

দীপ শেখর চক্রবর্তী

ছবি
  ৭- ই ডিসেম্বর, নিউ মার্কেট থেকে হেঁটে যেতে যেতে ১ ভেতরেও ধীরে ধীরে অন্ধকার নেমে আসে চিৎকারের বিপরীতে এমন চিৎকার অপমানের বদলে আরও বেশি অপমান আঘাতের বদলে আরও বেশি তীব্র আঘাত এই তো নিয়ম, টিকে থাকা প্রতিদিন ধারালো অস্ত্রতে শান দিয়ে যেতে হয় চুপ করে গেলে ধীরে ধীরে ভেতরে অন্ধকার নেমে আসে একা, বিপন্ন হয়ে বাসে ট্রামে ঘরে ফেরা কেউ নেই, যার বুকেতে মুখ রেখে বলা যেতে পারে আমি তো এভাবে জীবন দেখিনি। যত দিন যায় আরও বেশি কথা কমে আসে নিজেকে শান্ত জলের কাছে নিয়ে যাই একে একে তলায় রেখে দিই সমস্ত ক্ষত  মুখ দেখি, মুখ ধুয়ে যায়... আমার এই মুখ ধোয়া জল মনে হয়, তোমার মুখের মতো। ২ সামান্যতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি! এ দোষ তোমার নয় সামান্য কথা বেশি হয়ে গেলে নীরবতা ভালো লাগে। বলাই সহজ পৃথিবীতে। বলে ফেলা... তবু কেন, নীরবতা আগুনের কাছে বারবার টেনে নিয়ে যায়?  তোমার দোষ নেই কোনও আমিই কঠিন ভালোবেসে পুড়িয়ে ফেলেছি জিভ। যা কিছু এখন বলি ঘর পোড়া গাভীটির কথা, যার ডর সিঁদুরে মেঘ যার ভাষা, এই হাত কখনও ছেড়ো না।

সোনালী মিত্র

ছবি
ক্যানভাস পুটুস,আকাশ দেখে আমি পুটসের বন্যসোহাগ  দেখি  শ্যামলা গড়নে ভাঁজ-পড়া কোমরে অসংলগ্ন কাপড় খুঁজি  বুনোশূকরের মাংসের পোড়া ধোঁয়া,মহুয়ার যুবতীপূর্ণিমায়  পুটুস মাদিবাঘ হয়ে ওঠে  , হিংস্র দাঁতে ছিঁড়ে খায় হাড়-মাংস  এইসব দেখি আর লুকোনো  শিকারিদের মতো  ক্যানভাসে টুকে রাখি হরিণের বিশ্বাসী দৃষ্টি  পুটুসের মাটিবুকে নিটোল  ডুমুরের-ফল আছে ,  আমি পুটুসের আদিমজঙ্গলের ঘাসপালা দেখি , চিবোই চিবোনোর ফলসরূপ রস থেকে তৈরি হয় রং  রসের মহিমায় আমার ক্যানভাসে জেগে ওঠে এক প্রত্ননারী জ্যোৎস্নাবনে সে এক অদ্বিতীয়া জ্যোৎস্না , সামান্য নখের আঁচড়ে ভেঙে যায় সে  এগজিবেশন সৌন্দর্যের সমস্ত  সার্চলাইটটুকু কেড়ে নেয়  পুটুসমণি আমি দর্শকের মুগ্ধতা ও নিলামের দর ধরে থাকি  কালো রং থেকে আমার পুটুসরানি কর্পোরেট সভ্যতার দিকে  হাঁটতে থাকে   

সজ্জ্বল দত্ত

ছবি
  পুঁজির স্বগতোক্তি হারামির হাতবাক্স ছেলে  খালি প্রশ্ন খালি প্রশ্ন  অল্প ক'টা ভাত ছিটোলে এদিক তো                                     কাকের গুষ্টি  মাঝেসাঝে তত্ত্ব খেলে সারবত্তা নষ্ট মাথায়  সাইবেরিয়ার থেকে সাঁতরাগাছির ঝিল  আমায় উড়তে দিলে তুইও মস্তিতে ওরে                                     থালা বাটি গ্লাসে  এককড়ি ভিখিরিবাবু তিনকড়ি পাঁচকড়ি সাত... কে হাসে রে আপনমনে  পাকা হারামির হাতবাক্স ছেলে  পুঁজির শুধুই পুঁজ ?  খিদে পেলে ওই তবে চেটে চেটে খাস 

শমিত মণ্ডল

ছবি
পাহাড় ও অরুণিমা নুড়িবিছানো পথ তাকিয়ে আছে তোমার দিকে--- কোন পথে যাবে তুমি ?তোমার মাথার ওপর চিরসুন্দর আকাশ, তাতে সাদা মেঘের হুড়োহুড়ি আপাতত বন্ধ বৃষ্টি তবু ভিজে আছে কদমের পাতা। অনন্ত তোমাকে নিরাশ্রয় করেছে এমনি ভাবছ তুমি! হায় তুমি আত্মগত ক্লান্তির পদছাপ চিহ্নিত করেছি,এ তোমার‌ই পায়ের। তুমি এগিয়ে চলো, পাহাড়ের পাদদেশে বসত করো তুমি। সোনালী গমের খেত‌ এগিয়ে আসুক তোমার দিকে কাঠঠোকরার ব‌উ আর তুমি গর্ভবতী হ‌ও একসাথে----- চাঁদ আর পাখিডাকা রাতে।  

অমিত চক্রবর্তী

ছবি
  একটা পিঁজে যাওয়া ব্লু – প্রিন্ট সে চিনত না আমাকে, আমিও অপরিচিত জলের খোঁজে কতবার ছুটেছি একা, সেই নমনীয় কিনারায় এসে বেসামাল হোঁচটে হোঁচটে, নিংড়ে নেওয়া মন্থর। সে দেখেছে তিরের ছটা দেহে, দশরথের শব্দভেদী বাণ, তাই একটা কল্পনা পাঠায়, একটা পিঁজে যাওয়া ব্লু–প্রিন্ট, ভাঙনের না গড়নের না বুঝেই আমি উচ্ছৃঙ্খল, কালাপানি উৎসাহে ফের দুশ্চিন্তাহীন।   রক্তে আমাদের চল নেই আর ভাটিয়ালি কিংবা বিহু, শহুরে টান মাথায়, টিকটক, কংক্রিটের লম্বা ঢালাই, তবু সে চায় একটা বনভূমি গড়তে, একটা উপসেচ করা জলা – গড়তে গেলে এদিকে ভাঙতে হয় অনেকটাই –                                             শোনো আকর্ষণ, অথবা সেই পাশফেরা উপেক্ষা, শোনো তোমরা, সে চিনত না আমায়, তবু ডাক দিয়েছে অংশীদারে, পুরো আধাআধি, ভাঙি বা গড়ি আমি রোদ্দুরে বসে একবার জীবন চাখবই, একবার সৈন্ধ্রব স্বাদে ভরে যাবে এই দুর্ভিক্ষের ঠোঁট, অথবা পাংশু ফ্যা...

সোমা দত্ত

ছবি
  শীতার্ত শেষ অধ্যায় সময়ের কথা লেখা হলো না  কিঞ্চিৎ আলস্যে আড়াল হলো দুটো সত্যি, দুটো মিথ্যে, দু-মুঠোয় রাখা ফাঁকি – কি আসে যায় এতে জানা হল না কেউ প্রমাণ খোঁজে না ইতিহাসে ফিরে  যা আছে সেটুকুই সব যা নেই তা আগেও ছিল না। দ্বিতীয় অধ্যায় এখন হিম পড়ছে, শীতের কানায় শীত জানলার বন্ধ কাচেরা কুয়াশাকে আগলে রাখে বরফের গল্প ভাগ করে দুজন মানুষ মেরুপ্ৰদেশের জলের ঠান্ডা আলোচনা করে রাতের আলোটি যেন চমৎকার শিলালিপি জমা হয় পরিধান, দীর্ঘ সুতোর টানে একের উপর ছড়িয়ে পড়ে  দুইয়ের টান টান পায়ের পাতাটি তৃতীয় অধ্যায়  ক্লান্তি এসেছে শুষ্ক ত্বকে, ক্লান্তি বহুদিন ধরে  ভাবনায় ছুঁয়েছে আঙুল,  ঋতুর বাহুল্যটুকু জানে ওরা দুজনেই আগুন চিনেছে,  আগুনটিও চিনেছে ওদের শারীরিক ভুল চতুর্থ অধ্যায় এই সেই প্রচ্ছন্ন পাতাটি  যার আড়ালে সমগ্র পৃথিবী রেখে  ঘর ছেড়েছে গমের মরিচা রোগ  কৃষিকাজ অমল বিপ্লবে দাবি করে সুগঠিত মুকুল, সুগন্ধ,  সুস্বাদু তরল শাঁস– যে ফসল ঝরে গেছে তোমার ভাঁড়ারে, যে আনাজ ছুঁয়েছে তোমার বাজার  তাকে ছেড়ে সেরে নিতে হবে স্নান  বৈধতা নিতে হবে সমবেত স্বরে শুরু এই...

সুবিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
  আয়না এই  যে আমি কথা বলছি তোমার সঙ্গে মাথার ভেতর বাঘ ডাকছে  নয়তো কুল কুল করে বইছে নদী।  এই  যে তুমি বর্ষার মত ছুঁড়ে দিলে  আমি লুফে নিলাম শব্দ। কেন নিলাম! কেন নিলাম! যারা  গান গায় তাদের যেমন সুর ভাঙলে লাগে  আমাদের শব্দ।  শব্দ পড়তে দিতে নেই।  কে জানে কখন সবুজ ক্যম্বিসের বলের মত  ড্রপ খেতে খেতে , ড্রপ খেতে খেতে ...

পৃথা চট্টোপাধ্যায়

ছবি
  কবোষ্ণতা  ১ তোমার ঠোঁটের কোণে লেগে আছে হেমন্তের রোদ, মিঠে আঁচে সেঁকে নেওয়া চিকন পেলব মৃদু হাসি। মুছে দাও সব ক্লান্তি যবের শিষের সাথে মিশে, আমের মুকুলে বাসন্তিকা রঙ লাগে শ্রীপঞ্চমীর এখন শীতের ঋতু টানটান শরীরে তোমার তীব্র দাহে দেহ ভরে নিয়ে গ্যাছো জীবন নির্যাস চকোলেট বোতামের স্বাদে ভেজা জিভের আঁচড়ে তবু কিছু অপূর্ণতা রেখে যায় ফেরার আশ্বাস ... ২ তুমি কি একাই সব পারো ওগো সওদাগর সখা অবাক বাণিজ্য তরীখানি ছুঁয়ে যায় কত ঘাট, জলের কলস ভাসে একা...কানা কড়ি নিয়ে বসে থাকা ঈশ্বরের আশে।তবু তো কেবলই ডাকে দ্যাখো পদ্মপাতার মত সবুজ হৃদয়। শীত চলে গেলে নরম রোমের ডালে কুঁড়ি আসে, ভিতরে অনন্ত সাধ রাতুল পলাশ,তোমার আমার কিছু জীবন বিভাব... ৩ এ দেহ মরাল হলে ডানা থেকে ঝরে ঘাম জল কতটা গভীরে ডুবে খুঁজে পেতে চাও গূঢ় তল নদী তার নাব্যতায় লুকিয়ে রেখেছে চোরা সুখ বৃষ্টি ঝরে অবিরাম, ঘষা কাচ ফ্রেমে সেই মুখ চুপ চোখে অপলক নিবিড়তা ঘিরে থাক তুমি নতজানু হয়েছিলে মনে রাখে দেহ মরুভূমি নদীটির কাছে তুমি কেন ছুটে যাও বারবার এখানে কবোষ্ণ জলে ভরা আছে সুডৌল অপার... 

শ্রাবণী গুপ্ত

ছবি
  অধ্যায় একসঙ্গে হাঁটার জন্য যে মানুষ হেঁটে যায় সে জানে পথ কতটা দীর্ঘ; দীর্ঘ পথের শেষে হয়তোবা লুকিয়ে আছে দীর্ঘমেয়াদী কোন প্রস্তাব... এক-দৌড় মাঠ পেরোনো সময়ের বুকেও যোজন ক্ষতদাগ! এ যাবৎ হেঁটে আসা পথে কুড়িয়েছি মেধাবী রোদ পার করেছি নিঃসঙ্গ উৎরাই সে হেঁটে গেছে, পাশে পাশে একসঙ্গে হাঁটার জন্য যে হাঁটে সে কখনও পথ কাটে না বরং পথে পথেই সংগ্রহ করে নেয় পথচলার যাবতীয় অধ্যায়।

সোনালী ঘোষ

ছবি
আই রিপিট শুধু কয়েকটি চরিত্র আর খানকয়েক পাগলামি। টাটকা একটি জীবনের মধ‍্যে কিছু মুহূর্ত।বদনামের ভয়ে চুমু খাওয়ার সামর্থ্য হারিয়ে ফেললে  মধ‍্যমানসিকতার মানুষের আউডোরে বিদেশী গান চালিয়ে শুধু মাতলামি করা ছাড়া উপায় নেই।বিশ্বাস ক‍রো, এই চড়াইউতরাই রাস্তায় জাস্ট সিটবেল্ট বেঁধে দীর্ঘ তালিকা নিয়ে খোঁজে বেড়িয়ে পড়ো।ভাবো একটি খুশবু রিদেম মেপে ঢুকে পড়ছে শরীরে আর প‍্যারাস‍্যুটে তুমি হাজার ফিট উপরে....কি দেখছো বলো তো?এই সব চোখ ঠোঁট নাকের উপমা দিতে যেও না।এই সব ন‍্যাকা প্রেমে পড়লে তোমার সন্দেহের প‍্যারামিটার চড়ে যাবে।মনে রেখো লং লাইফ স্টোরি বলে কিছু হয় না। টুক করে ভেসে গেলেই জীবনের চে' রঙিন কম্বিনেশন বুঝি আর নেই।  

মঞ্জরী গোস্বামী

ছবি
  শীতকাহন ১ আমার জনমভর শীত  বহুদিন তুমি নেই  ঘাসের বিছানা ছেড়ে কোথাও  যাই না চুপ করে শুয়ে থাকি আচমকা বেলা চলে যায়   কনুইয়ের নীচ থেকে  হঠাৎ যেন ফুরিয়ে যাওয়া কোনও  হাত অভিমান ..... জমাট.........শীত  কুয়াশায় ঢাকা পথ,  গাছের ডালে নোলকের মত দোলে শিশির, বুনো আভা ফেরোমোন  ধরে আসে স্মৃতি -সংলাপ,  ঢেঁকিশালে ভাগ হয় বাক্যের সব অব্যয় , ছেদ , যতি ২ এসো প্রিয়তম  চেয়ে দ্যাখো এতটুকু জটিলতা নেই সামান্য ক্ষোভ ধিকিধিকি তুষের আগুন বোবা জলার বুকে লাল সর হয়ে শুয়ে আছে চঞ্চুতাড়নায় সেও কেমন সরে সরে যায় আমার ওই একফালি আকাশের টান তোমাকে নামিয়ে আনি , লজ্জা হয় , পাপবোধ জাগে তুমি যাও সফল উড়ান আলগা পালকটুকু ফেলে চলে যেও

রিমলী বিশ্বাস

ছবি
  শীত-কথা পেরোয় না শীত প্রাপ্তবয়স, আনকোরা তার শরীর জুড়ে কিশোরবেলার মগ্ন তুষার হৃদয়তন্ত্রী যাচ্ছে খুঁড়ে! সমস্ততেই হালকা পরত হিমের সাথে উত্তুরে ভোর পৌষালী শীত ঘুম ভাঙালো, কংসাবতী কি হলো তোর? খেজুর গাছে ফোঁটায় ফোঁটায় ভরাট শরীর উপচে ওঠে  ঘনিষ্ঠতা আগুন খোঁজে শব্দভেদী গ্রামীণ ঠোঁটে  মফস্বলি নক্সীকাঁথায় এই সময়ে আড়মোড়া প্রেম শরীর থেকে শরীর বোনে রেশম সুতোয় আলগোছে হেম শহর কিন্তু একইরকম ব্যস্ত অফিস, শপিংমলে কফির সঙ্গে সন্ধি কারোর, কেউ ডুবে যায় অ্যালকোহলে বাইরে যত ঠান্ডা বাড়ে নারী-পুরুষ সব শরীরী গ্রীক পুরাণের ইরোস এবং নিক্স তখনই আদমখোর-ই শৈত্য এবং উষ্ণতাদের এ এক রকম আদিম খেলা আদর থেকে আদর মাখে চাদরগুলো রাত্রিবেলা! ঘুম ভাঙে যেই শিশুর মতন নরম করে তাকায় যুগল জোড়াদিঘির মতন দু'চোখ, ভালোবাসার টলটলে জল শীতকালে যে স্পর্শ রাখা তাদের স্পর্ধা অন্যরকম ঠিক যেন ওই ঘোড়সওয়ার আর শাশ্বতীকে পাওয়ার মতন তেমন কোনো ইচ্ছে হলে, তবেই এসো আমার ঘরে শীতযাপনের উষ্ণ দাবি মিটিয়ে নেব তীব্র জ্বরে।