সম্পাদকীয়
শীতকাহন কাবার্ড থেকে আদুরে সোয়েটার আলমারিতে উঠে গেছে সেই কবেই। সন্ধের কফি আর কুয়াশার মিতালিও এখন তলানিতে। কতদিন মাঝরাতে বৃষ্টি হয় নি। কতদিন জানালা খোলেনি পৃথিবী। গাছগুলো পাতাশূন্য থেকেছে কতদিন। এখন আবার সবুজের রেখা, রোদের হলকা, জানালায় বিরহিণী। মুখোশ খুলে এক আকাশ শ্বাস আত্মগত করতে বড় সাধ হয়। কফির ধোঁয়াটুকু উড়ে গেলে অলিন্দনিলয়ে জাঁকিয়ে বসে সম্পর্কের শীত। ঘনিষ্ঠ ঠোঁটের গায়ে লেগে আছে আধো আলো শীতের সকাল। ফেলে রাখা মাউথঅর্গ্যানে এখনো হিমেল স্তুতিগান। ভালো আছো, মেঘ? এই বসন্তে মনে মনে মেঘ আর মাঘ জপে যাই। বাতিঘরের তালা খুলি। ধূপধুনো দিতে দেরী হয়ে যায়। দূর সমুদ্র থেকে ভেসে আসে লবণাক্ত হৈম হাওয়া। একাকী জাহাজ তুমি, মৈথুন ভুলে মৃদুমন্দ কেঁপে ওঠো। জাহাজের ডেকে তখন ব্যক্তিগত গদ্য, কবিতারা বসন্তের অঙ্গে অঙ্গে বাজায় মায়া। বাতিঘরের আলোয় তখনো শীতকাহন আর আমাদের একত্রে জড়োসড়ো হয়ে বসে থাকা। প্যানিক অ্যাটাকের গায়ে যতটুকু কুয়াশা বা কাঁপন লেগেছিল সেটুকুও কেটে গেলে ওয়েবজিনের পাতায় মুদ্রিত হয় অনিবার্য বয়ঃসন্ধি... আনন্দঝোলা ঝুলিয়ে পারলে আরো একবার ফিরে এসো পলাতক শীত। রাশিফলে লেখা ছিল মাসের পয়লা তুমি আ...