শাশ্বতী চ্যাটার্জী
প্রিমনিশনস্
অনেক পূর্বাভাস দিয়ে তবে বৃষ্টি এলো।
সাজঘর থেকে বেরোলো রঙীন মেঘ সন্ন্যাসী হাওয়া।
নৈঋত কোণে পাথরের পরিওলা যে আইভরি বাড়িটির চূড়ো দেখা যেত, তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়লো, প্রায় সাড়ে তেত্রিশ ফুট রাস্তার পাড় জুড়ে। রাত বাড়লে আকাশের ল্যাবে গভীর বিক্রিয়ায় একে একে নিভে গেল নক্ষত্রের প্রাচীন গণনা। ততক্ষণে বন্ধ হয়ে গেছে শহরের তাবৎ নৃত্যালয়, পালকের কারখানা, রোঁয়া ওঠা পাখিদের শৌখিন সেলুন।
পাটিগণিতের স্যার ছাতাটি হারালেন। ফ্যালফ্যাল চোখে কবিতার খাতা খুলে মাথায় ধরতেই নেমে এলো ভাঙা কাচ, ছেঁড়া সুতো, এলেবেলে নুড়ি। আহত স্যারের পাশে কাঁচা ধুলোর ঘোরে উড়ে গেল একপাতা সারিডন, বার্ষিক প্রশ্নপত্র, লকারের চাবি। ধোঁয়াটে অন্ধকারের মধ্যেও হেডস্যারের বাজখাঁই বকুনি শোনা গেল; বিদ্যুতের সার্চলাইটে কারা যেন জুতসই চেয়ার খুঁজছে।
হেকিমবুড়ো আবিষ্কার করলো কচি বৌয়ের লুকোনো চিঠি; কাজল বলে লণ্ড্রীর ছোঁড়াটার লেখা। একশো ঊনতিরিশটা ভুল বানানে রগরগে 'চিত্তোনাট্য'। বারান্দায় পড়ে থাকে হেকিমঘরণী, কষ বেয়ে লাল দুধ, কানের পেছনে চাঁপাফুল। বুক বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে বাসমতী আলো। সাত আট বছর হ'ল, হেকিমের দামি ধান সহ্য হয় না।
অ্যাসবেস্টসে তিড়িং নাচ শুরু হ'ল। রাখহরি চক্কোত্তির তাতে কিছু যায় আসে না। গো ডাউনে মাল সব দিব্যি হেফাজতে। নোটের বাণ্ডিলগুলো মোটা প্ল্যাস্টিকে। আবহাওয়া দফতর থেকে দুপুরেই স্থানীয় সংবাদে, পূর্বাভাস দিয়েছিল ভারী বৃষ্টিপাতের।
Asaharon👍
উত্তরমুছুনএভাবেই বৃষ্টি আসে। এভাবেই আসে শাশ্বতীর কবিতা। যেন জলের তোড়, হাওয়ার বন্যা। উড়িয়ে নিয়ে যায়,ভাসিয়েও।
উত্তরমুছুন