পিয়াংকী
রাষ্ট্র চুম্বন আর নাব্যতা
একটা ঘোর কাটিয়ে উঠে আরেকটা ঘোরে ঢুকে যাচ্ছি, মাঝের সময়টা একটা নদী।
হয়ত সেখানে প্রকাশ্যে চরম চুম্বন দেখে থ হয়ে বসে আছে রাষ্ট্র , হয়ত সেখানে ক্ষত-আঘাতের নামে ডাকঘর আছে একটা, হয়ত বিরাট অট্টালিকা বানিয়ে মৃত্যুকে উৎসর্গ করেছে স্থানীয় জনতা ,জনসমাবেশে যৌনতা প্রচার করছে তামাম জনগন। হতেও তো পারে...
হয়ত সেখানে রাস্তার ওপর বিছিয়ে রাখা আছে আলনা আর আলপিন। লোকজন চলাফেরা করছে। তারপর অপ্রয়োজনীয় কাজগুলো শেষ করে নিয়ে টুক করে মাথা গলিয়ে ঢুকে যাচ্ছে আলনায়,আলপিনগুলো দিয়ে সাঁটিয়ে নিচ্ছে নিজেদের। হতেও তো পারে...
হয়ত সেখানকার যাপনচিত্রে কোন জল নেই, শুধু সবার ঘরে বরাদ্দ একটা আয়না যা দিয়ে দেখে নেয়া যায় ছায়াটুকু, সবাই সেখানে নিজেদের উল্টে শুইয়ে রাখে
জন্মের বাঁদিক দিয়ে যে রাস্তাটা চলে গেছে আস্তিনের দিকে ঠিক সেখানেই পোশাক বদলে নেয় সবাই তাই সেখানে খুব ভীড় এবং ব্যস্ততা। হতেও তো পারে...
হয়ত আমাকে নিয়েই ওখানে বিপ্লব লিখে রেখেছে কেউ , দেয়ালে দেয়ালে রঙিন কালিতে লেখা আছে কবে কখন কিভাবে কতবার আমি আমার পুরুষটির ঠোঁট কামড়েছিলাম তারপর দরজা খুলে রেখে সাপের মতো দুজনে শুয়েছিলাম সেই বিছানাতে যেখানে সে তার সার্মথ্যমতো সাজিয়ে রেখেছিল পাখির জ্বলন্ত পালক।
হতেও তো পারে...
দুটো ঘোর। মাঝের নদীটা সংসার।ওই নদীটাও একটা ঘোরই বোধহয়...
খুব ভালো। কবিতার কাছাকাছি।
উত্তরমুছুনঅসাধারণ। অনেক শুভেচ্ছা।
উত্তরমুছুন