দেবার্ঘ সেন


সুলক্ষণার খামে

এই একলা সময়ে দাঁড়িয়ে দেখছি পদ্মফুলের বিস্তর অভিমান। জলের ওপর লেই, লেই এর ওপর মাকড়সার জাল। তোমার আসার কথা লিখে রাখছি সুলক্ষণের খামে। চারপাশ ভীষণরকম অবাঞ্ছিত, এমন মিশ্র বিষাক্ত হাওয়া পূর্বে কখনও ওঠেনি। এই হাওয়ায় চোখের ধাতুতে মরচে পড়ছে। থমকে যাচ্ছে দীর্ঘদিনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। মুহূর্তে মুহূর্তে অমঙ্গলের ছায়া হয়ে উঠছে তীব্র অপহারী। মানুষ ভেতরে ভেতরে সংশয়ের পরীক্ষা দিচ্ছে। আধুনিক হয়ে উঠছে যন্ত্রণাও। একে অপরের সাথে প্রাণখুলে কেউ কথা বলতে পারছে না, এমনকি নিতে পারছে না শ্বাসও। একটা চাপা অস্থিরতায় এখন যেন সময়টাকে পার করতে পারাটাই হয়ে উঠেছে বেঁচে থাকার সকাল-বিকেল। 

তোমার আসার কথা লিখে রাখছি যে সুলক্ষণার খামে, জানিনা তা কবে জাগ্রত হবে; তবে তা শীঘ্রই জাগ্রত হোক। পদ্ম সে তো গম্বুজাকৃতি ফুল, অভিমান করে মানুষকে তো পাঁক করা তাহার কাজ নয়। 




মন্তব্যসমূহ

  1. সুলক্ষণার খাম উন্মুক্ত হোক। অভিমান গদ্য ছড়িয়ে পড়ুক মুক্ত মল্লারে।

    উত্তরমুছুন
  2. আহা!কী মায়া ছড়িয়ে আছে লেখাটিতে। খুব ভালো লাগল। সরল অথচ সুন্দর।

    উত্তরমুছুন
  3. মায়াময় গদ্য। বড় ভালো লেখা।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য