সম্পাদকীয়
'আত্মপ্রকাশ 'সংখ্যা দিয়ে যাত্রা শুরু। তারপর একে একে 'পর্ণমোচী ',' রাবীন্দ্রিক','অসময় ' হয়ে 'হিমকথা '।থমকে গেল।আমরা বুঝলাম ব্লগজিন প্রকাশনা পথে মোটেই ফুল ছড়ানো নেই, বরং কাঁটা বিছানো।
কিন্তু ঐ যে সুমনের গান--'হাল ছেড়ো না বন্ধু... '।তাছাড়া মহাকবি শেক্সপিয়ার তো কবেই তাঁর 'A Midsummer Night's Dream ' নাটকে বলে গেছেন --- "The course of true love never did run smooth. "
অতএব সাময়িক দ্বিধা -দ্বন্দ্ব কাটিয়ে, বিভ্রান্তি পেরিয়ে আবার যাত্রা শুরু।
এখনও অসুস্থ পৃথিবী। দেশে দেশে ভাইরাস ত্রাস।দ্বিতীয় ঢেউ স্তিমিত হতে না হতেই তৃতীয় ঢেউয়ের উঁকিঝুঁকি। কাছে দূরে কত প্রাণ চলে গেল অকালে। জানি না পৃথিবী আবার কবে সুস্থ হবে।আবার কবে মুখোশ খুলে রেখে প্রাণ ভরে নেব শ্বাস।
ঋষি তুল্য কবির কথায় ----
'আছে দুঃখ,আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে। /তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে। '
তাই আবার আমাদের যাত্রা আয়োজন। আবার দুঃসাহসী ডানা মেলা।
'বাতিঘর ' যারা আলোকিত রাখে তারা সমস্বরে গুগল মিটে বলে --
'আয় সবে বেঁধে বেঁধে থাকি '...ব্যাস।হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলা শুরু করতেই নতুন পথের দিশা। অন্ধকার ফিকে হয়ে দেখা দিল নতুন আলোকরেখা। কবি, অভিনেতা, চিত্রগ্রাহক ---কি যে বলি তাকে! কারিগরী সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এল দীপ্তেশ্বর ভাই। সম্পাদকদ্বয়ের দৃঢ় সিদ্ধান্ত ---এই বর্ষাতেই প্রকাশ পাবে আমাদের স্বপ্নের বাতিঘর অনলাইন ব্লগজিন। ঘনঘোর শ্রাবণ বরিষণ অনুষঙ্গে নাম হল " "মেঘমল্লার সংখ্যা "। যদিও জল যন্ত্রণা, তবু বৃষ্টির রোমান্টিকতা অস্বীকার করা তো যায় না।
প্রায় সব নিয়মিত বিভাগই থাকল।লেখক সূচীতে নতুন পুরনো মেলবন্ধন। থাকছেন রাণা রায়চৌধুরী, অংশুমান কর, তৃষ্ণা বসাক সহ আরও অনেক নতুন মুখ। সবাইকে বাতিঘরে স্বাগত। তাঁদের সৃজন সম্ভারে আলোকিত হোক বাতিঘর।
বৃষ্টিবিলাসবেলায় কবিশ্রেষ্ঠ কালিদাসের " মেঘদূত "অনুসরণে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কথা বলে শেষ করি----
" পিঙ্গল বিহ্বল ব্যথিত নভতল, কই গো কই মেঘ উদয় হও।/সন্ধ্যার তন্দ্রার মূরতি ধরি আজ মন্দ্র-মন্থর বচন কও।"
সুন্দর সম্পাদকীয়
উত্তরমুছুনখুব ভালো সম্পাদকীয়
উত্তরমুছুনসুন্দর সম্পাদকীয় প্রকাশ
উত্তরমুছুনযে ব্লগজিনের সম্পাদকীয় এত কাব্যিক, সেই ব্লগজিনের গুণগতমান নিয়ে সন্দেহর কোনো অবকাশই থাকে না।
উত্তরমুছুনচলবে৷ চলুক৷ সম্পাদক পছন্দ হইচে আমার
উত্তরমুছুন