অংশুমান কর

 


বর্ষায়



–বসন্তে ও তোমাকে ছুড়ে দিয়েছিল একটা ফুল। আমি দেখেছিলাম।
–বা রে! ও একটা ফুল দিলে আমি নেব না? আমি তো দিইনি ফুল, তাই না?
–কেন জল ছিটিয়ে দিল আজ?
–জল ও ছিটিয়ে দেয়নি, ছেটালো তো হাওয়া।
–ও ঝুঁকে পড়েছে তোমার দিকে। কিন্তু তুমি মানবে না তা।
–মানে বয়েস হচ্ছে। মানে শরীর বেঁকে যাচ্ছে ওর।
–সবসময় ঠাট্টা।
–রেগো না প্লিজ, অভিমানিনী রাধা।
 
একটা পলাশ গাছকে নিয়ে রাধাচূড়া আর কৃষ্ণচূড়ার এই সংলাপ শুনে ফেলল যার সঙ্গে ছাদ অনেকদিন কথা বলে না সেই কার্নিস। তার চোখের কোণ থেকে জল ঝরে পড়ল এক ফোঁটা।





মন্তব্যসমূহ

  1. লেখাতে প্রাণ পেল যেন ছাদ ও ছাদের কার্নিসও।

    উত্তরমুছুন
  2. অনেকদিন কথা বলে না ছাদ। এতকিছু শুনেও না। বসন্তে বর্ষা নামে।

    উত্তরমুছুন
  3. অদ্ভুত সুন্দর কবিতা। ছাদ আর কার্নিসের আড়ির জায়গাটা পুরো কবিতাটার বৃন্ত। কবিতাটা বসন্তের পলাশ হয়ে ধরা দিল, এই শ্রাবণেও।

    উত্তরমুছুন
  4. কবিতায় যেন প্রাণমন প্রতিষ্ঠা হোলো ছাদ আর কার্নিশের। তারপর জেগে উঠলো যেন প্রতিবেশী রাধাচূড়া-কৃষ্ণচূড়ার সম্পর্কের মাঝে, মন দেওয়া-নেওয়া অনুরাগী-অভিমানী সংলাপের মাঝে...
    জল এসে যায় অনুভবে, শুধু কার্নিশের নয় – আরও অনেকেরই ! দারুণ 🌹

    উত্তরমুছুন
  5. এই অদ্ভুত ফর্ম মুগ্ধ করল!
    এবং বিষবস্তুও।

    চন্দ্রনাথ শেঠ।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য