সোমা দত্ত


 অনাবৃষ্টি



মাথার উপরের পাখাটা বারো বছরের পুরনো খৈতান
টিউবলাইটের আলোয় রাত বারোটা বেজে চল্লিশ মিনিটও কেমন যেন সাদা
বাইরে বৃষ্টি পড়ছে
তাকে কুড়িয়ে নিতে
পাঁচটাকার ডটপেন, তিনশো টাকার নিব,
সাদা অথবা রুল টানা খাতারা
গোড়ালি থেকে ক্রমশ উরু ছুঁয়ে, নাভি ছুঁয়ে
একসময় দামি বুকে বৃষ্টি লিখছে
এখন অবশ্য টাইপ করেই
মেকওভার হয়ে যায় ভার্চুয়াল নোটে
ডিজিট্যাল লাভ একটি লুপেই ইনফিনিটি
সম্পূর্ণ বর্ষা জুড়ে বৃষ্টি সেরা বোহেমিয়ান
                      
২ 

মা যখন ঘুমায় মুখটা হা হয়ে যায় মাঝে মাঝে
অস্বাভাবিক লাগে, শুধু মা বলেই হয়তো ওই মুখে তখনো মায়া আর আদর লেগে থাকে
বৃষ্টির দিন এলে মায়ের পায়ের ব্যাথা বেড়ে যায়
সরে দাঁড়ায় পা গুটিয়ে, জামা কাপড় সবকিছু শুকনো
রাখার বড় তাড়া, যত বয়স বাড়ছে মা ফর্সা হয়ে যাচ্ছে
যত দিন এগোচ্ছে মা যেন শিশুর মত ফিরে আসছে
শুধু শুকনো থাকার অভ্যাসে

মায়ের ভিতরে তাকালে স্পষ্ট দেখি
ওর ভিতরেই আসলে আমার হরোস্কোপ লেখা আছে
                       

বৃষ্টি পড়ছে,
বাইরে রাত, রাতের ভিতর রাত্রিকালীন ডাক
স্ট্রীট লাইটের আলোটা ঝলমল করছে
যুবতীর চোখের মত
বৃষ্টি উড়ছে, ঘরের ভিতরে রাত, রাতের ভিতরে
অবাধ নাইট ল্যাম্প, ঠান্ডা হাওয়ার গন্ধ―
রহস্যময় আবহে
আমার সন্দেহ হয় তুমি অন্য কাউকে ভাবছো
তোমার মুখের হালকা গোলাপী টান আমার অচেনা
এরকম প্রায়ই হয় আজকাল
সবকিছু কেমন প্রত্যাশিত অতিথির মত
অ-কঠিন
বৃষ্টি যেন মার্জিন টানে খাতার বাঁ দিকে
তারিখ লিখে দেয়, বিশেষ ঋতুর জন্য
তখন, আমারও তোমাকে অন্য কার মত যেন লাগে  






মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য