রিমলী বিশ্বাস
শ্রাবণ
শ্রাবণের আকাশ ঠিক যেন কংসাবতীর মোহনা!
ঘোলাটে রঙ, ভারাক্রান্ত!
এই বুঝি আকাশেই জেগে উঠল চর!
বইতে না পেরে খালি করে দিল গর্ভগৃহ!
ঈশ্বরী নেমে আসলো স্বয়ং
নাহলে উঠে আসলো
বিসর্জনের ঘাট থেকে জলকণা হয়ে!
ভাবতে ভাবতেই ভিজে একসা!
শ্রাবণ বড় বেশি স্মৃতিপ্রবণ!
বারংবার সেই বাইশে শ্রাবণে ফেরায়,
যে ফেরায় রবি ঠাকুরের চলে যাওয়া ছাড়াও
আরও কিছু ছেড়ে যাওয়া ছিল।
ছিল সুতির শার্টে মুখ ডুবিয়ে বৃষ্টিমাসী মেয়ের কান্না!
ছিল শহরের এক সমুদ্র নোনা হওয়ার ইতিবৃত্ত!
শ্রাবণ এলেই দেখেছি বেশ সেরে উঠি,
সেই কবে থেকে ভুলে যাওয়া রোগ!
শুধু ছাইরঙা আকাশের দুঃখ
আমাকে ভুলতে দিল না
তেমন দুঃখ পাবার সাধ আজও ষোলোআনা!
অঝোরে বৃষ্টি পড়ে, একটানা...
আমি আরও অতীতে ফিরি,
পাঠশালার শিশুদের সমবেত স্বরে
ধ্বনিত হয় ধারাপাত,
মুদে আসে চোখ...
এতদিনে আবিষ্কার করি
শ্রাবণের নিরলস বৃষ্টি উচ্চারণ
আসলে জলের অবিশ্রান্ত ডাক
কোথাও একটা ফেরার...
নামতার মতো মুখস্থ হয়ে যায় যে ঠিকানা
কষ্ট করে মনে রাখতে হয় না যাকে।
মেঘমল্লারে শ্রাবণের অনুপম বৃষ্টি উচ্চারণ
উত্তরমুছুনভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনখুব সুন্দর
উত্তরমুছুন