সমর্পিতা ঘটক


অরণ্য-দুপুর
এই যে শ্রাবণমেঘ চিরে চিতলহরিণ আলো
উন্মাদিনী বৃক্ষলতা আর ছোপছোপ অরণ্য-দুপুর
এ তোমার যতটুকু আমার ততটাই
ম্যাক্সির দুই ধারে হাত-মোছা হলুদ... জবরদখল
ছিটছিট পাতাবাহারে সাভানার বুনো রোদ টপকায়
আগুনপাথর হাতে ...হেমন্ত-অরণ্যে
চিমনির কোটর ফুঁড়ে ঘনিয়ে আসে ছটফটে ডানা
পাখি-মা ছানাদের বায়নাক্কায় ছিটিয়ে দেয় দানা-জল
এক রাশ জল ঘেঁটে এই জলপ্রপাত থেকে
ওই রামধনু প্রপাতে ছলকে উঠি
রঙ, বীজ, রোপণ, কত সাবেকি সম্পদ!
ফেউ থাকে সংসারেও,  ডোরা-কালো ভয়...
কুকারের সিটির মতো তীক্ষ্ণ হয় ক্রমশ
আমিও সরেস হই, জলপ্রাপাতে ছুঁড়ে ফেলে
ঘুরিয়ে দিই নব, তারপর শান্ত দুপুরে
হেঁটে পার হই চিরহরিৎ পথ
ভেষজ চায়ের মতো ম্লান হয় আলো
গুহামুখ থেকে ডাক দিই
জেগে ওঠেন আমার বৃক্ষমানব।





মন্তব্যসমূহ

  1. সংসার ও অরণ্যে কীভাবে ছড়িয়ে থাকে এক আলোকিত দুপুরবেলা, কবি প্রকৃত ও অতিপ্রাকৃত মিশেলে যেন অপরূপ করে তুললেন তাকে...

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. এমন সব প্রতিক্রিয়া যত্নে রাখি। এসব নিয়েই বেঁচে থাকি। আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

      মুছুন
  2. রোজকার ঘেরাটোপ থেকে বৃক্ষমানবে কবি মিলিয়েছেন ভাবসৌন্দর্য্য...খুব সুন্দর!!

    উত্তরমুছুন
  3. অরণ‍্য ,প্ররকৃতি জীবন মিলেমিশে একাকার এখানে...ভেষজ চায়ের মতো ম্লান হয় আলো আমার আশ্চর্য প্রয়োগ বলে মনে হয়েছে।অসাধারণ

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. প্রাণিত করে আমায় এমন প্রতিক্রিয়া, এমন পাঠ। ওই লাইন তোমায় ছুঁয়ে গেছে জেনে তৃপ্তি হল আমার। ভালোলাগা❤️❤️

      মুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য