তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
রঙতুলি মেয়ে
অস্পষ্টতা যখন মুছতে থাকে, রঙতুলি'মেয়ে ইজেলময় আমি, অঙ্ক ফেলে এক্কাদোক্কা নিয়ে বসি।
অমনি নিমেষেই সব কালোরা আলো হয়ে যায়।
চিলেকোঠা থেকে টুপটাপ জল বেয়ে নদী হয়। হাওয়ারা কাগজ আনে, নৌকা ভাসে উথাল পাথাল।
হারানো সিঁদুরের গায়ে রঙ চড়ে বসতেই মুহূর্তে তোমার হাতে দিস্তা খাতা আর আমার চোখে ঘোর।
তুমি আঁকো পুতুলের ঘর, আর সেই ঘরে আমি খুঁজি ঈশ্বর।
কাক না মোরগ বোঝার আগেই সূর্য মামার নরম গরম বেড-টি। আমিও কেমন নড়ে চড়ে বসে ফেঁদে ফেলি একটা জীবনের মত নতুন নকসা--
ভেবে দেখলে একটা মেকওভার চাই,
ভীষণ ভাবে, অপ্রতিরোধ্য একটা রুপান্তর।
সমস্ত জড়তা ঝেড়ে ফেলে, সেকেলে যত জীর্ণ পন্থা মুছে দিয়ে, লোকচক্ষুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অন্তত একটা সত্যিকারের স্বচ্ছতা চাই।
সকাল হলে চোখ মেলেই যেন সূর্যাস্তের মত আলোকিত হয় তুমিময়তা। সেই আলোর গন্ধ বুকে নিয়েই দিন বাড়ুক। শশব্যাস্ততায় মাথাচাড়া দিক শব্দ সুখ, কারণে অকারণে..
সূর্য এগোনোর সাথে তোমাকে দেখার নেশা তীব্র হোক এতোটাই, যে বেপরোয়া হয়ে দরজা ঠেলে ঢুকে পরে যেন বলা যায় " ছুতো বোঝো, ছু্তো? বলি একবারও তো সামনে আসতে পারো! কয়েক সেকেন্ড হলেও চলবে। বোঝ না কেন, এতো চোখ এড়িয়ে খুঁজে চলে কেউ তোমার উপস্থিতি "
তার চেয়ে বরং আমরা ভাগ করে নিই ' কে কখন কাছে এসেছি ' এই মন্ত্রনামা, অথবা গল্পগান।
কম কথা তো নয় বলো!
ওই অত্তখানি ঘড়িঘন্টা উপরওয়ালা আমাদের নামাঙ্কিত করেছেন। কে জানে তাঁর কী ইচ্ছে!
কে কবে কোথায় জেনে বসে ছিলো বলো, প্রাগৈতিহাসিক বিবর্তন কাহিনী সমূহ। অথচ কী অনিবার্য সে সব...
তারচেয়ে বরং ডিলিট অপশানে গিয়ে ভুল, ঠিক, উচিত, অনুচিত এই সবকটা অ্যাডজেক্টিভ মুছে ফেলে কনসেনট্রেট করি নতুন ডাউনলোড অপশনে, একবুক মুক্ত বাতাস আর দিগন্ত বিস্তৃত উচ্ছাস নিয়ে..
বেচারি ময়নামতী না বুঝেই এক ধাক্কা-
'ও দিদি এই নাও তোমার লিকার দার্জিলিং, চুমুক দিয়ে ওঠো দিকিনি, অফিস আছে তো! '
চমৎকার রে তানি, আমি পূরবী দি❤️
উত্তরমুছুন