কৌশিক সেন



 তন্ত্র ~


নরকের ঘাটে ঘাটে অবুঝ প্রত্যয়

বাতাস ফিরে পায় গ্রাম্যতা। প্রণত 

শরীর, নগরের রাজপথে অনুপ্রাস

রেখে যায় গুনে গুনে।


এখানে থেমেছ যদি, শোক নয়

আশ্বাস। আচমনে দীর্ঘ হয় স্নান

অস্থিকলস; রাতের শ্বাপদ সুখ

বুকে বাঁধে মুণ্ডমালিনী।


এমনওতো হতে পারে শৃগালশরীর

ছেঁড়াপাতা রেখে যায় জাদুকরী, লজ্জাস্থানে


এখনও স্নান সারে কেউ কেউ।

নিদ্রাসুখ ভেঙে যায় তিমির অবগাহনে,

এখনও শোক জমে নাড়িপথে

স্কন্ধকাটা চুষে খায় বাতাসার রস।


ভাণ্ড তবু উপচে পড়ে স্বর গ্রামে

প্রবাহে মাঘের নদী উপচায় যোনিমুখে

সামলে চলার খেদ জেনে রাখে 

করোটিকঙ্কাল।


ফুঁক মারি। ছাই ওড়ে সাধনার পঞ্চমুণ্ডে 

খাড়া হয় বাঁশি। হাঁ’মুখে কিশোরীরং

ঘনঘন জিভ নাড়ে কদাকার শৃগালজননী।


সবশেষে খেরোখাতা খুলি। জবাফুল

রেখে আসি জরায়, বৃক্ষজরায়ুতে

ঈর্ষা রাখি ললাটচন্দনে, রোহিনীলতায়…..



পদ্মনাভ ~

ধিমতি নাভির দেশ। কেঁপে উঠে অজর অমর 

স্থাপনের ঘাসে ঘাসে অজপাসকাল। উলের কাঁটায় 

বোনা অলাতচক্র যত। খামোশ হয়েছে সঙ্গীত।


গাঢ় হয়ে আসে পদাতিক। শমনেই রাজার সমন 

কখনও কি শ্লোক ছিল ভূর্জের অমোঘ সুষুম্নায়!

উৎসবে মিশে যায় পথ্যের কত উপশম।


ওখানে আ-তপ রাখো। নশ্বর পশমসদৃশ।

হাঁসের লিপ্তপদ লেগে থাকে খিড়কির দ্বারে

যে ঘোর শ্যাওলা আদি তোমাকেও ঘিরেছে একদা।


কতদিন বয়েছিল ব্রহ্মবাতাস! নদীর পাথরদাগ

ছুঁয়েছিল বিষাদপ্রবাহে। স্নায়ুর প্রকটব্যথা ভেসে গেলে

বিফল নিকাশে, কথার কপোতে আজও ব্রহ্মনাদ শোনা


তাপ নামে প্রশ্বাসে তবু। কালসর্প নেমে আসে 

অপার বিশ্বাসে। পরাতের ফুলগুলি ধীরে ধীরে 

কল্লোলিনী হয়। সরোবরে স্নান সারে কমলেকামিনী…

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

মঞ্জরী গোস্বামী