পৃথা চট্টোপাধ্যায়
হৃদয়ের রং ~
১.
হেমন্তে ফসল কাটা হলে
পড়ে থাকে মাঠ শুনশান
চাঁদের আলোয় ঝলমল করে মাটি,
ইঁদুরেরা খুঁটে খায় ধান।
বাঁশের পাতার ফাঁকে চেয়ে থাকে পেঁচা
লেখা হয় নিদারুণ শিকারের গান।
২.
পৃথিবীর শূন্যতার দিনে
যুবতী শরীর বেয়ে নামে
গলিত লাভার স্রোত ,
শীর্ণ শরীর তার কোনো মতে দৈন্যদশা ঢাকে।
যৌনতার নগ্ন কেনাবেচা
ক্ষমতার হাটে।
গলে যায় মেদ মাংস
মায়াবিনী পৃথিবীর গান
কত কথা থেমে যায় নীরবতা ঘাটে।
৩.
গুমোট বাতাসে ভাসে পোড়া গন্ধ
নক্ষত্রও পুড়ে যায় নৈশ অভিযানে,
বৃক্ষ, শিশু, মানুষকে ভালবেসে
ক্ষুব্ধ জীবনে তবু আমরাও বাঁচি
ঘাস ফড়িঙের মত নীল স্বপ্ন আঁকি।
৪.
উদাসীন শ্রাবণ ধারায়
আবার নতুন করে জীবনের স্রোত।
শহরের অনটনে নতুন বিরোধ,
কদমের ঘন গন্ধে মদির বাতাস
হৃদয়ের রং নিয়ে উড়ে যায় পাখি।
ভারি সুন্দর লেখা।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ জানবেন 🙏
মুছুনখুব খুশি হলাম।
খুব ভালো লাগলো
উত্তরমুছুনখুব খুশি হলাম। পৃথা চট্টোপাধ্যায়।
মুছুনঘাস ফড়িঙের মতো নীল স্বপ্ন আঁকি — বাহ, সুন্দর।
উত্তরমুছুনআপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। পৃথা চট্টোপাধ্যায়।
মুছুননীরবতা বড় কথা বলে
উত্তরমুছুনমায়াবিনী পৃথিবীর কথা
ধন্যবাদ জানবেন। 🙏
মুছুনকদমের ঘন গন্ধে মদির বাতাস — চমৎকার
উত্তরমুছুনআপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। পৃথা চট্টোপাধ্যায়।
উত্তরমুছুন