নিমাই জানা
১
প্রথম গর্ভপাত আল্ট্রাথিন মেমব্রেন ও পরীক্ষাগারের সুতনুকা
২য় ঘোড়া ৩য় গর্ভপাত ঘরের মাথায় তিনটি অভিশপ্ত কমলালেবুর উপর চন্দ্রবিন্দু ঝুলে আছে লাইগেশন তার নিয়ে , মহকুমা হাসপাতালের দেয়ালের অদ্ভুত ছবিগুলো শ্বাসকষ্টের ব্রিদিং ইনহেলিং নিতে নিতে ঘুমের ছায়াছবি আঁকছে একটি কালো নার্সের সন্ধিযুক্ত পদার্থ বিজ্ঞানের নিষিদ্ধ চারকোল খাতা , আঙ্গুলেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটা বোম্বিং স্কিপ করা যাবে এখনই , নৃতত্ত্ববিদের সংখ্যারা দেয়াল থেকে কার্বনিক ব্লু প্রিন্ট নিতে নিতে রক্ত চোষকের অদ্ভুত শব গুলোকে ব্লেডের মতো ঘোরাচ্ছে , এখানে প্রতিটি রক্ত ভর্তি বোনম্যারোর ভেতরে আমার শুকতারার বীভৎস ইঙ্গিত মেখে এক একটা জুতোর ব্লু প্রিন্ট নেমে ঘাম মুছতে মুছতে রক্তের মায়ান্ধকার চলছে একটা প্রদীপের কন্টিনিউয়াস টেন্স , মাথা আর মাথার মতই এক একটা বিচ্ছিন্ন সারা জীবন বয়ে বয়ে বেড়ানোর মতো বীভৎস অঙ্গরাজ্য আর নেই। হাসপাতালের বাইরে প্রতিটা প্লাস্টিক পেপারের দাম ২৫ টাকা , এতো মানুষ লাভা মেশানো কফ মেশানো মূত্র ভর্তি ইউরিক সালফার গন্ধের মূত্র গ্রন্থিগুলোতে চওড়া হ্যালুসিনেশন ব্যাবিলন নদ লুকিয়ে রাখে , শুধু ঘুমের মতো চওড়া একটা মৃত কালো মানুষ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে পাঠাতে ইংলিশ চ্যানেল ভঙ্গিমায় কিছু কাকতালীয় শীর্ষাসন দিয়ে আঙ্গুর বাগানে হত্যার পর্যায় সারণীতে লিখে ফেলে এক একটা ক্ষার ধাতুর নাম।
কতবার আঙ্গুলের মাংসের হৃৎপিণ্ডে রোপন করবে আকাশমনির গাছ , একটা হত্যাকাণ্ডে কতকগুলো বাদাম গাছ ঋতুস্রাব খাচ্ছে।
২
রুদ্রকালীন প্লেবয় ও অতি বৈদ্যুতিক ঘোড়াদের সঙ্গম দৃশ্য
তিনবার মৃত্যু নয় , চারবার ঝুমকো লতার মতো হাড়ের ভেতরে আমাদের সব পাঞ্চজন্যের বিষাক্ত রসে গলাকাটা ব্লেডের পা গুলো ডোবাতে ডোবাতে ফ্রিজিং দেয়ালটা কাঁপছে টলটলে যৌন ভর্তি জানালার মতো , দুটো হিরোশিমা দাঁত নিয়ে হারমোনিয়াম বাজাবে মৃত্যুর সারেগামা , সারারাত নিকোটিন মেশানো দুটো সিগারেটের উলম্ব স্তন ছিঁড়ে খেতে খেতে একদল কর্কট পোকা উড়ে যাবে নক্ষত্রের মতো একটা স্নায়ুতন্ত্রহীন চুলচেরা বিশ্লেষণের সংবিধান কক্ষে , রাতের পরিমিতি আলাদা, কাউকে বলতে নেই সে কথা নৌকা কিভাবে জলে ডোবে কিভাবে ৩×২×১ ঘনফুটের দেয়ালে পাঁচ জন উলঙ্গ পুরুষ রাত জেগে জেগে ভদগা খায় , রাত দেখে এখানে প্রতিদিন রাতে বুলেট বিদ্ধ হয় মাথার খুলি উড়ে যায় স্ট্রেচার ভর্তি রক্তের দগদগে পা গুলো থেকে কিছু কালো রঙের সাপ ঝুলতে ঝুলতে হাসপাতালের পেছন কক্ষে এসে ডলফিন ভঙ্গিমায় ই ভোকাবুলারি নামক একটা মৃতদেহের উপর ছত্রাক গাছ রোপন করে দিচ্ছে। তিনটি লাশ নিজের সাথে বাকবিতণ্ডা সেরে নিজেদের কবরের ওপর কাফন চৌকি রেখে কালো রঙের উপবৃত্তাকায় ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর কক্ষপথে হারিয়ে যাচ্ছে কালো অর্জুন ছালের শীঘ্রপতন নিয়ে , আরোগ্য নিকেতনের নুপুর দাস ইনফার্টিলিটি কাপে করে ৫০০০ গ্ৰাম ওজনের ইস্ট্রোজেনিক চা খাচ্ছে
৩
ইউরিক গন্তব্যের বিস্কুট ও জাহান্নামের চৌকাঠ
ঠিক শেষ রাতের দিকে আমার বুকের হাড়ের 3D এক্সরে হলো , চৌম্বকীয় হাড়ের ক্ষয়ে যাওয়ার ভেতরে সব প্লাজমা অন্ধকারের টিনের দরজা বাজাতে বাজাতে চৌকাঠের এসেম্বলি খুলে রক্ত জবার ব্লাস্ট ফার্নেস ফাটিয়ে আকরিকের চৌকাঠ ভেঙে আমাদের মৃত্যুর সংক্রান্ত জলি বিষ্ণুপুরে রোপন করছে তিনটি অধাতব ইউক্যালি পটাশের গাছ , পিতার মতো সূক্ষ্ম নক্ষত্র গুঁড়ো আর কোন পাপাত্মার শরীরে নেই , মরা কাঠের দেয়াল ভেঙ্গে একদল লো ভিশন ক্যামেরায় চোখ রেখে দেখছে সঙ্গমের পূর্ব মুহূর্তের ব্লু প্রিন্ট আর পরিচ্ছদের গন্ধ শোঁকার মুহূর্ত , নষ্ট হয়ে যাচ্ছি আমি কার্বন পেপারের মতো , কাঁচের পেপার ওয়েট পাইনের অভয়ারণ্য বিষুব নদী নিয়ে জেগে থাকে হত্যাকাণ্ডের শিকারী , তার কাছে নন জেনেটিক থিয়েটার একা নিজের দুধ ফুটো করে খায় , নষ্ট হাসপাতালের পুরুষ বিভাগের শৌচাগারে দেখি গুটকা খোর লাল শ্যাওলার মত একদল মানুষ জাহান্নামের বিস্কুট চিবোতে-চিবোতে দেওয়ালে টাঙিয়ে রাখছে কালো পলিথিনের পর্দা , ঈশ্বর সবকিছু জানেন না বলে আমাদের বাম পা থেকে ডান পা , ডান পা থেকে বাম পায়ে ধারালো অস্ত্রগুলোই বিঁধে হত্যা করতে উদ্ধত হয়েছি নিজের গলাটাকেই। এখানে সকলেই চুপিচুপি কথা বলে সকলের গলার ভেতর দিয়ে অজস্র পরিপাক গ্রন্থি সরু হতে হতে জন্ডিস রোগীকে কালো মাকড়সার ঝোল খাওয়াতে বলা হয় প্রথম অস্ত্রোপ্রচারের পরের দিন । একটা মাতাল মাঝ রাতে উঠে পচা মাছের আঁশ রেঁধে খাওয়াবে ৩২ নং ব্লাউজ বিক্রেতাকে
৪
১৮০০ নাম্বারের মেন্টাল হাইজেনিক ও ঘুমের পরা সংকেত
একটানা ২ লক্ষ ১৮ দিন রাতে ঘুম না এলে ১৮০০ নাম্বারে ফোন করতে বলেছে কালো কাঁচের বোতলে রাখা ঢলে মদের মতো পচা টক জলের গন্ধ ওড়া স্বাস্থ্য দপ্তর , অথচ ঘুম খুব একটা দামী নয় বলেই পরিত্যক্ত ডেকোরেটার্সের এক একটা নারী আজীবন হাত তুলে দাঁড়িয়ে রক্তের দলা ভর্তি কলসি গুলো উপুড় করে রেখে জলপ্রপাত ঢেলে দিচ্ছে উলঙ্গ পরিচারিকাদের মাথায় , হাত তুলতে থাকা মাইক্রোফোনিক ওষুধের শিশি , আমার নষ্ট পেন্ডুলাম জাহাজ ভর্তি আঙ্গুর ফসফেট ভর্তি হিলিয়াম অসুখ লো ভেন্টিলেশন নো পুরুষের প্রবেশ , সফটওয়্যার দাঁতের মতো বীভৎস সিকিউরিটি গার্ড সারারাত দরজা খোলা ইমার্জেন্সি কেবিন রেজিস্ট্রেশন রুম ঘুরতে ঘুরতে পায়ে নোংরা শ্যাওলা জমিয়ে ফেলছে কষ্ট করেই । আবু সাঈদ ও ইঙ্গিতপূর্ণ দেবদারু গাছের বীজ দেখতে পায় না। বন্ধ ফ্যানের নিচে জটিল অংশীদারি কারবার গুলো বিছানা পেতে শুয়ে আছে হাইড্রেনে জমছে রক্তের তুলো রোগীদের ডাল মাখানো ভাত কুকুরের অন্তঃস্রাবী যৌগিক পদার্থ , এখনই লো ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের মতো বৃষ্টিতে ভিজবে একদল টিনেজার দৌড়বাজ পাখি , উলঙ্গ থার্মোস্ট্যাট কেবিনে দুটো হাড়ের নৃতত্ত্ব কবর খুঁড়তে চাইছে কেউ
গোমুখের রক্তাল্পতা মেশাতে মেশাতে কোলন ক্যান্সারের প্রচেত শূণ্য বাজাবে একদল পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ , বৃষ্টিকে কতবার রক্তের ঘনত্ব মাপতে বলা হয়েছে তা শুধু বর্ষাকালের চন্দ্রবোড়া সাপ জানে , ইউরিক এসিডের ভেতরে আমার একটা পিথাগোরাস নারী তিনটি উড্ডীয়মান লিপস্টিক নিয়ে উড়তে উড়তে হিরোশিমার তেজস্ক্রিয়
রেডিয়ামে মুখ ঢেকে আমাকেও সেক্স চ্যাট দেখিয়েছিল
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন