সুদীপ দাশ


 আকাশ জুড়ে শুনিনু :-


কলিং এর ঘন্টা বাজল,-- ক্রিং ক্রিং।
   দনুজদলনবাবু আজকাল সোজা গিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা খোলেন না। একবার দেখে নেন ভিউ ফাইন্ডার দিয়ে।দেখলেন একটি ছোকরা ছেলে পিঠে একটা ঝোলা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।মনে হয় ক্যুরিয়ারের ছেলে হবে।কি আবার এল ক্যুরিয়ারে,কে জানে?
একটু ইতস্তত করে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতেই অবাক হলেন। দেখলেন,একটি অল্প বয়সী ছেলে পিঠে প্রকান্ড এক বস্তা নিয়ে দাঁড়িয়ে।একগাল হেসে, গুড মর্নিং করে বললো,এটা তো এ এস টু বাই টু, গীতাঞ্জলি অ্যাপার্টমেন্ট,তাই না? 
-- হ্যা, 
--- আপনিই কি মিস্টার ডি ডি রায়?
--হুঁ, তাতে কি?
--- না মানে, আপনার পুরো নামটা কি যেন? দোনু--জ--দোলন।
--+না, ওটা দনুজদলন, মানে হল ---
--- ও ঠিক আছে, আপনিই ডি ডি রায়, তাতেই হল। আপনার একটি পার্সেল আছে।আমি ফ্লিপকার্ট থেকে আসছি।
-- পার্সেল ! কোথা থেকে? আমি তো কিছু জানি না।
এর মধ্যে দনুজদলনের স্ত্রী শান্তাদেবী দরজায় এসে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ও অবাক চোখে তাকিয়ে রয়েছেন ছেলেটির ঝোলা থেকে কি বস্তু আবির্ভূত হয়!
--হ্যা,একটি বড়সড় বাক্স বেরোল।
--- অ্যাঁ, এতে কি আছে? আমি তো কোন অর্ডার করি নি।
 ---দুদুটো স্মার্টফোন বেরোলো যে  দাদু। আইফোন কোম্পানির। দারুন জিনিস মাইরি।
--- কি? ভদ্র ভাবে কথা বলতে পার না। কিন্তু কে পাঠালো এমন মহার্ঘ বস্তু? কোথাও ভুল হচ্ছে না তো? আমাদের তো কেউ এমন জিনিস পাঠানোর মতন নেই।
--আরে দাদু, স্টেটস থেকে এসেছে। আমেরিকান মাল , বুঝলেন?
---+ কিন্তু আমাদের তো কেউ বিদেশেও থাকে না।-- শান্তা বলেন।
-- আরে দিদা, এমন হয় নাকি? এই দেখুন ইউ এস থেকে পাঠিয়েছে , পাঠিয়েছে কে এক দাশগুপ্ত, নামটা ঠিক পড়া যাচ্ছে না,ঘসে গেছে ।এই যে অ্যাড্রেস--- ৩৬৯, ব্রুকলীন।ওমাহা।ইউ এস এ।
-- আমি তো কোনদিন এমন শহরের কথা শুনিনি বাপু। কোন ভুল হচ্ছে বোধহয়।
এবার ছেলেটির ধৈর্যচ্যুতি ঘটল।
-- আরে, আমার এত সময় নেই।এই প্যাকেটটা রেখে খোঁজ খবর করুন তো কে পাঠিয়েছে।
-- না, কিন্তু আমরা তো কোন খরচ করতে পারব না।
--- ও আচ্ছা? এই ভয়? কোন পেমেন্ট করতে হবে না,সব যে পাঠিয়েছে,সে দিয়ে দিয়েছে।
-- ওহ্ তাই! এতো অবাক কান্ড!!
--আপনার মোবাইল ফোনটা আনুন।ওতে একটা ও টি পি নম্বর এসেছে।আমাকে বলুন।
--- কি? মোবাইল ফোন কি কাজে লাগবে?
-- আপনার নাম্বারে একটা ম্যাসেজ এসেছে।
--- না, না আমি ওইসব নম্বর টম্বর বলতে পারব না। বুঝেছি,আমার ব্যাঙ্ক থেকে সব টাকা হাওয়া করে দেবার ধান্দা! আমি ঠিক বুঝেছি,কেন এত বিনি পয়সার ফোন এলো।
-- এতো আচ্ছা ঝামেলায় পড়া গেল।
-- আরে আপনার পাশের ফ্ল্যাটের কাউকে ডাকুন তো? ওকে বুঝিয়ে বলছি।
এরকম কথা কাটাকাটির সময় পাশের ফ্ল্যাটেরই ভাওয়ালের ব‌উ বেরিয়ে এলো।-- কি হয়েছে মাসিমা?
--- আরে আমি বুঝিয়ে বলছি। ওদের ফোনে একটা ও টি পি এসেছে। ওঁরা বুঝতে পারছেন না।এটি ফ্লিপকার্টের নিয়ম ,ও টি পি বললে তবে আপনার পার্সেল আপনাকে হ্যান্ড ওভার করব।
-- ও এই কথা। দিন ফোনটা।
--- না মানে যদি ব্যাঙ্কের টাকা গায়েব হয়ে যায়? টিভিতে কত দেখায় না?
-- আরে এটা তাই নয় ।এটা ওদের চেকিং,ঠিক লোকের কাছে জিনিস পৌঁছল কিনা। দিন ফোন,আমি দেখে বলে দিচ্ছি।
যাই হোক,দনুজদলনবাবু সেই আদ্দিকালের নোকিয়া মোবাইল দিলেন। ভাওয়ালগিন্নী ও টি পি বলে এ যাত্রায় ছেলেটিকে বাঁচাল।ও টি পি বলায় প্যাকেট দুটি ওদের কাছে হস্তান্তর করে ছোকরা খুব বাই করে বিদেয় হল।
কিন্তু সারা ফ্ল্যাটে খবর হয় গেল যে ইউ এস থেকে মাসিমা, মেসোমশাইয়ের নামে দুদুটো স্মার্টফোন এসেছে।
এবার বুড়ো বুড়ি ভাবতে বসলেন যে কে সেই জন যে এই মহার্ঘ বস্তু পাঠালো। দনুজদলনবাবু বললেন,--- আরে তোমার রাঙাদিদির মেয়ের দিকে না ছেলের দিকের এক নাতি আমেরিকায় থাকে বলেছিল না? 
--- না আমার তো তেমন কিছু মনে পড়ছে না। আরে তোমার কেমন যেন সেই আরতিদির মেয়ে, তোমাকে খুব মামা মামা করে, -- কি যেন নাম? ওহ্ ও -- স্বপ্না। ওর মেয়ে শুনেছিলাম যে স্টেটস এ পড়াশোনা করে। একবার ফোন করে দেখবে যে স্টেটসে কোথায় থাকে?
--- দূর দূর -- এরকম চিনি না জানি না, তারা আমাদের জিনিস পাঠাবে কেন? তাছাড়া শুনলে না, কোন দাশগুপ্ত পাঠিয়েছে। ওরা তো দাশগুপ্ত নয়।তোমার মাথাটা সত্যিই গ্যাসে --
--- কিন্তু এ সমস্যার সমাধান তো করতেই হবে।কে পাঠালো এমন মহার্ঘ বস্তু! তা আবার আমেরিকা থেকে! আমার তো মাথা ঘুরছে।
দনুজদলনবাবু ও খুবই চিন্তিত হলেন।কি যে করবেন, কাকে ফোন করবেন তা কিছুতেই ভেবে পাচ্ছিলেন না।
তাও, আরতিদির মেয়ে স্বপ্নাকে ফোন করে বসলেন।
---- হ্যালো,স্বপ্না,স্বপ্না আছে? 
--- না বৌদি তো একটু বেরিয়েছে? -- ওবাড়ির কাজের মেয়ের উত্তর।
---কখন‌ ফিরবে?
-- কিন্তু আপনি কে বলছেন? 
--- মানে, তোমার বৌদির এক মামা বলছি ডি ডি  রায়। গড়িয়া থেকে ফোন করছি। ফিরলে বলো আমাকে একটু ফোন করতে। বিশেষ দরকার।
রাতে স্বপ্না ফোন করল, --- হ্যা,মামু, ফোন করেছিলে? 
--- হ্যা রে।কেমন আছিস?
--- আছি কোনরকমে? ছেলে তো ইউ এস এতে।ওর বাবার তো সেলসের চাকরি,-- আজ হায়দারাবাদ তো কাল গৌহাটি।এই বয়সে বল তো , শরীরে কি এত ধকল সয়?
-- ও তাই বুঝি! কিন্তু মানে আমি ফোন করেছিলাম কেন জানিস? তোর ছেলে ইউ এস এর কোথায় থাকে? ওর নাম যেন কি?
--- ও থাকে নিউ জার্সিতে। ওর নাম অয়ন,অয়ন চৌধুরী।
---ও ও।না মানে এমনি‌ই একটু খবরাখবর নিচ্ছিলাম। 
---- সে কি? তুমি এতদিন পর ফোন করলে? তোমার খবর‌ই তো নেওয়া হল না।মামীর শরীর কেমন আছে, প্রেসার, সুগার? কতদিন দেখা হয় না।
--- হ্যা, একদিন এদিকে আসিস না। আজকাল বেলগাছিয়া থেকে তো মেট্রো রেলে গড়িয়া আসতে তো বেশি সময় লাগে না।
--- আমার আর কোথাও যাওয়া হয় না মামু।এই সংসারেই আমি ডুবে গেলাম।
--- ঠিক আছে। রাখলাম।
দনুজদলনবাবুর হিসাব কিছুতেই মিলছে না।কে যে এই পার্সেল পাঠালো তা তো বুঝতে পারছেন না তিনি।রাতের ঘুম উড়েছে, জেগে জেগে ভাবেন,-- এ কেমন পরীক্ষায় ফেলেছ হে ঈশ্বর। তবে উনি ঠিক করে নিয়েছেন যতক্ষণ না বুঝে উঠতে পারছেন কে এই পার্সেল পাঠালো ততক্ষণ ওই প্যাকেট খোলা হবে না।এই নিয়ে গৃহবিবাদ লেগে গ্যাছে। গিন্নী তো অত সূদুরপ্রসারি চিন্তা ভাবনা করতে পারে না, সে তো কেবল প্ররোচনা দিয়ে চলেছে প্যাকেট খুলে দেখার জন্য যে কি জিনিস রয়েছে ভিতরে।
তাই বলে,-- আরে প্যাকেট খুলে দেখতে কি? আমাদের নামে পার্সেল এল, আমরা দেখতে পারব না? 
--- না, পারবে না।এটা আমাদের কিনা আমার সন্দেহ আছে বুঝলে? হয়ত ঠিকানা ভুল করে এসেছে।
--- আমাদের ঠিকানায় এল, ভুল করে? আগে খুলে দেখোই না সত্যিই মোবাইল ফোন না অন্য কিছু?
দনুজদলনবাবুর মনে খুঁত খুঁত করতে লাগলেন।সত্যি একবার খুলে তো দেখলে হয়,কি রয়েছে ওই প্যাকটে। একবার খুলতে যান, আবার পর মুহূর্তেই মনে হয়,নাহ্ খুলে কাজ নেই।
এইভাবেই দিন কেটে যায়। সেদিন সন্ধ্যেবেলায় হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠল।এই অসময়ে আবার কে এলো কে জানে। আজকাল ওরা খুব‌ই এই কলিং বেলের শব্দে একটু যেন বিচলিত হয়ে পড়ছেন। তাও ভিউ ফাইন্ডারে দেখলেন ওদের ফ্ল্যাটের তিন তলার বসাকবাবু বেল দিচ্ছেন, সঙ্গে তার টিনএজার ছেলে।
---- কি ব্যাপার,এই অসময়ে? কিছু বিশেষ দরকার?
--- না, মেসোমশাইয়ের একটু খবর নিতে এলাম।
-- তা বেশ। ভেতরে এসে বসবেন,নাকি দরজায় দাঁড়িয়ে‌ই কথা বলবেন?
--- না, মানে একটু সিক্রেট কথা ছিল। ভেতরে বসি?
-- হ্যাঁ, হ্যাঁ, আসুন। বলুন, কি বলবেন?
---না, মানে শুনলাম, যে আপনার কোন‌ রিলেটিভ নাকি, আমেরিকা থেকে দু দু'টো মোবাইল ফোন পাঠিয়েছে। সত্যিই কি ভাগ্যবান আপনি।
-- ও, কার থেকে শুনলেন,আমি কাউকে বলিনি এখনো।
--- কেন? এই ফ্ল্যাটে তো সবাই বলাবলি করছে।
দনুজদলনবাবু বুঝলেন যে ভাওয়ালের ব‌উ রাস্ট্র করেছে।
--- ও ভাওয়ালের ব‌উ বলেছে বুঝি।
ছেলেটি এতক্ষণ চুপ করে ছিল। এবার সে বলল, না মানে একবার দেখাবেন প্যাকেটটা, খোলেননি এখনো?
-- না, এখনো কে পাঠালো সেটাই তো বুঝতে পারলাম না।খুলব, তার পর অন্য কেউ যদি ক্লেইম করে? আমাদের ওই নামে কোন রিলেটিভ নেই । এই ,তো সেই প্যাকেট।
-- দেখি,দেখি , বাবা দেখো এ তো একেবারে লেটেস্ট মডেল। আইফোন ফরটিন। 
--- ওহ্ ,তাই নাকি। তা কেমন দাম হবে রে?
--- তা , লাখ টাকার উপরে।
--- অ্যাঁ, বলিস্ কি? 
----হ্যা,তাই তো 
---+ মেসোমশাই। আমার একটা আবদার আছে। আপনারা তো এমন মর্ডান গ্যাজেট অপারেট‌ই করতে পারবেন না। এ তো একটা কম্পিউটারের থেকেও অ্যাডভান্স।
--- হুঁ হুঁ।তা বটে।
--- তা আবার দু দু'টো ফোন!
--- আমি মোটামুটি পঞ্চাশ হাজার দেব।আমাকে একটি দিয়ে দিন। বুঝলেন, আমার ছেলেটার খুউব শখ,একটা আইফোন কেনার। কিন্তু এত দাম। 
--- তার মানে? আমি তো এখনো খুলেই দেখি নি ওগুলো কি?
--- ঠিক আছে,এখন দেখুন না।আমার ছেলে ঠিক সুন্দর করে খুলে দিতে পারবে।
---- তাছাড়া যদি আপনি চান তাহলে দ্বিতীয় ফোনটার ‌ও খদ্দের জোগাড় করে দিতে পারি। আসলে অমন বিদেশি মাল তো সবসময় পাওয়া যায় না।
এতক্ষণ পিছনের বারান্দা থেকে শান্তাদেবী এইসব বাক্যালাপ শুনছিলেন। উনি ও ঘরে ঢুকে পড়ে বলতে লাগলেন,
-- আরে এমন সুযোগ আর আসবে না। আমরা দুটো ফোন নিয়ে করব কি বল? একটা বিক্রি করে দাও। কিন্তু বলছিলাম কি বসাকবাবু লাখ টাকার ফোন এত কম দামে তো ছাড়া যাবেনা। আপনি ওটা আশি হাজার করুন।
দনুজদলনবাবু এ এক কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছেন। এদের না পারছেন বোঝাতে,না কোনো ভাবে কে এ ফোন পাঠিয়েছে তা বুঝতে পারছেন।
তবু তিনি বললেন,--রাখুন তো। আমি ওই টাকা দিয়ে কি করব? দুজনেই প্রেসার সুগারের রুগী। না কিছু খেতে পারি, না ঠিক মতো হাঁটতে চলতে পারি।  তোমার এতো টাকার লোভ তো জানতাম না। -- গিন্নীকে উদ্দেশ্য করে বলেন।
---- না না মেসোমশাই। আসলে ছেলের ওই আইফোনের ভীষণ শখ। আপনারা আলোচনা করে ঠিক করে নিন। আমি বরং কাল বিকেলে খোঁজ নেব। মাসীমার কথামতো আশি হাজার‌ই দেব।প্রথমটা পঞ্চাশ হাজার আর তারপরে ছ মাস প্রতি মাসে পাঁচ হাজার করে।রাজি হয়ে যান মাসিমা।
শান্তা দেবী তো খুশিতে ডগোমগো। কিন্তু দনুজদলনবাবুর কিছুতেই মনের সায় মিলছে না
কেবল মনে হচ্ছে কোথাও কোন ভুল হয়েছে,এই পার্সেল ওদের নয়।
 আর শান্তাকে নিয়েও পারেন না। এমনিতে সুগার, প্রেশারের সমস্যায় না পারে চলতে না পারে খেতে। কিন্তু টাকার লোভ সামলাতে পারে না।
আর আজকের কি ভোগবিলাসের জমানা।ভারি তো একটা মোবাইল ফোন। তার জন্য এত্তো খরচ! তা আবার ব্যাবহার করবে কে? একটি টিন‌এজার ছাত্র। তার বায়নার জন্য বাবা ছুটে বেড়াচ্ছেন। ধার দেনা করেও দামী মোবাইল কিনতেই হবে। এমন অবসেশড্ মানুষ এ যুগে।
সেদিন রাতে আর ঘুম আসছিল না। দনুজদলনবাবু ঠিক করেছেন কাল কোন ডিসিশন নিয়েই ফেলবেন। এভাবে চলবে না। এইরকম ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছেন। তিনি শুধু দেখতে লাগলেন এক অপরূপ দৃশ্য। আকাশ জুড়ে শুধুই অন্ধকার। তার মধ্য দিয়ে ফুঁড়ে বেরোচ্ছে অজস্র অজস্র আলোর বিন্দু।সে যে অসংখ্য মোবাইল ফোনের আলো! কি আশ্চর্য! ছোট ছোট বাচ্চাদের দল সে মোবাইল ফোনের স‌ওয়ার।এ কেমন স্বপ্ন ,নাকি সত্যি! হঠাৎ একঝলক যেন তিনি দেখতে পেলেন একটি মুখ, ওঁর মায়ের সেই কবেকার মুখ। মা চলে যাওয়ার পর তো কোনো দিন একবার ‌ও মাকে স্বপ্নে দেখেননি, আজ কেমন দেখা দিয়ে গেলেন।সবাই এসে হাসি হাসি মুখে কেমন যেন আবার মিলিয়ে যাচ্ছে।
ঘুম ভেঙ্গে গেল।তখন‌ও সকাল পুরো হয় নি। শান্তার তো ভোরে ওঠা অভ্যাস।ও নিশ্চয়ই এতক্ষণে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছে। পাসের ঘরে একটু উঁকি দিয়ে অবাক হয়ে গেলেন দনুজদলনবাবু। শান্তা সেই মোবাইলের প্যাকেট দুটো খুলে ফেলেছে -- অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রয়েছে ফোন দুটির দিকে ---- কে জানে কোন সুজন পাঠিয়েছে ---
আকাশ থেকে নেমে আসা একটি বাচ্চা শান্তাকে মোবাইলের সুইচ অন করে কি সব যেন বোঝাচ্ছে হাসি হাসি মুখে।
কোথাও যেন ভোরের এক কোকিল ডেকে উঠলো ------- কুহু --কুহু -----


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

মঞ্জরী গোস্বামী