ঈশানী রায়চৌধুরী
এই অনন্তের রাতে পরিচয় কিবা!
তবু যদি হেঁটে যাও, যেদিকে বাঁকানো আছে কালপুরুষের ছিলা,
আমি আছি অগ্নিকোণে লুব্ধক শরীরে...
ঠোঁটের কিনারে নিয়ে চুম্বনপ্রত্যাশা।
একদিন উড়ে গেছে আমার চোখের পাতা আশ্বিনের ঝড়ে।
একটা মেঠো শ্বাস ঝাপটিয়ে ডানা উড়ে ছিল ছায়াপথ ধরে,
সেদিনের স্মৃতি আজ ধুলোর মতন
নম্র স্বরে গান গায়..
নাভি থেকে শ্বাস নিলে খুঁজে পাবে কদমসুবাস।
ওহে যুবা, তোমার ফসিলচোখে অভিসার ছেনে
আমি যাবো অরোরার আলোপথ চিনে।
নীহারিকা জানালার পর্দা সরিয়ে, হাতছানি ছুঁড়ে দেব; পারবে কি তুমি সেই ডাক ঠেলে হতে নিষ্ঠুরমানব!
তারপর একদিন তারা খ'সে ঝরে যাবো সবুজ-সমুদ্রে,
মাছ হয়ে চিনে নেব তোমার পিচ্ছিল ত্বক পাখনায় ছুঁয়ে।
অন্য মাছের ঝাঁকে ছুটে যাবে লাম্পট্যের টানে! না না,
হৃদয়টা খুঁড়ে আমি ভরে নেব অসহ পাথর-জোড়া নিশ্ছিদ্র বেদনা।
বেদনার নীলরসে জন্ম নেবে মুক্তো দ্যুতিময়...
সেই স্নিগ্ধজ্যোতি যেন অবহেলে দুচোখ পোড়ায়!
মহাকাল লিখে নেবে কালো তার জাবেদাখাতায়,
একটা গোপন ব্যথা কী সাহসে অধিকার করল আদায়!
রূপকথা হেরে যাবে একদিন প্রলয় শিশিরে,
আমরাও পাড়ি দেব ব্ল্যাকহোলে অতল গভীরে।।
চমৎকার লেখা 🍀
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
উত্তরমুছুন