সৌরভ বর্ধন
কাঙাল
আমাকে কেমন কাঙাল করেছে রোদ!
দমবন্ধ রুটির ভেতর কষ্ট
যেন আরও অর্জিত ভ্রম, আরও জোয়ানের ঝাঁঝ থরোথরো।
যদিও কিছুদিন পর এই নৃসিংহ দশা কেটে যাবে আমার
তারপর বিরাম, নেমে আসবে ক্ষীণতোয়া শব্দের প্রহেলিকা।
সারা দিনমান আমি ছান্দোগ্য রীতিতে অধিষ্ঠিব পরকাল
আর সেই কাহিনীর জ্যোতি গাঢ় সাম্রাজ্যের ইতি-উতি উড়িবে,
বিষপিঁপড়ের কঠোর শাসন নেমে আসবে স্নানে।
ভগ্নপ্রায় গৃহ সকল, কুহক আর মোরগের ধর্মসাপ
কিলবিল করে বাজবে হাতে; অথবা গলায় আটকে যাবে বিষন্ন রস
অস্তিত্বের প্রতি নিষ্ফল উপক্রমণিকা।
পরিত্যক্ত নই;
তাই জ্বলজ্বল ক'রে রুগ্ন পাতার ঝোপে আমারই ফুল ফোটে,
অকথ্য শীতে গীত হয় গ্রীষ্মের সাঙ্ --- এমনই সাঙাৎ ধরা স্বভাব!
তাকে দাম্পত্য ছুঁড়ে আহত করার মতো প্রণয় দরকার এখনই।
একান্ত নারীর ছিদ্র দিয়েই যেটুকু উষ্ণ জল, ঠিক জল নয়, তরল
অথবা এখনই ঘাট থেকে তাড়িয়ে আনতে পারি মসীহার মুণ্ডুহীন শব।
তবুও রাজার উর্ধ্বপাতন ও প্রতিরক্ষার টানে
সমূহ কারিকুরি আর শস্যবীজ সব পুষ্প হয়ে ফুটেছে উদ্যানে।
সকলেই ধরা খেয়ে তৃষ্ণা নিবারণ হেতু গলে গলে পড়েছে চেয়ারে
বড্ড পিছল যে কাঁধ, বড্ড গরম এই ঘরে। যেখানেই হাত রাখো
খুঁজে পাবে সরকারি আস্তাকুঁড় ----- তাকে তো বধ করা সহজ নয়
শুধু গরজ একটু কম, আর শুশ্রূষা হলুদ করে পাতা।
তোর কবিতা সবসময় প্রেরণা দেয় নতুন কিছু লেখার।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ🙏💕
মুছুনস্যালুট সৌরভ। উচ্চমানের....
উত্তরমুছুনআলিঙ্গন ❤
মুছুনখুবই ভালো 💖
উত্তরমুছুনধন্যবাদ🙏💕
মুছুনতোমার লেখার ভাষা খুব নতুন লাগে আমার। পৃথা চট্টোপাধ্যায়।
উত্তরমুছুনখুব খুব ভালো লাগল ।
উত্তরমুছুন